Tue. Apr 22nd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

17kখােলা বাজার২৪।। মঙ্গলবার, ২০ জুন, ২০১৭: সাপ্তাহিকের সম্পাদক গোলাম মোর্তুজা বলেন, পার্বত্য এলাকায় পাহাড়ি ধসে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তার মধ্যে রাঙামাটির কথা বলি দূর্গতদের মাঝে যে ত্রাণ দেওয়া হয়েছে। সেই ত্রাণ পর্যাপ্ত ছিলো না। এর কারণ সেখানে কতৃপক্ষ বা সরকারের যে পরিমান মনোযোগ পড়েনি। রাস্তা বন্ধ ছিলো ঠিক আছে কিন্তু নৌপথ খোলা ছিলো । সেই নৌপথ দিয়ে পণ্য পরিবহন থেকে শুরু করে অন্যান্য যেকোন জায়গায় থেকে রাঙামাটি যাওয়ার সুযোগ ছিলো।
মিথিলা ফারজানা’র সঞ্চালনায় একাত্তর টেলিভিশনের নিয়মিত অনুষ্ঠান একাত্তর জার্নালে তিনি একথা বলেন। এছাড়া ছিলেন সিনিয়র সাংবাদিক নাজমুল আশরাফ।
গােলাম মোর্তুজা বলেন, রাঙামাটি পাহাড়ি ধসে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তারা সকলে এাণ সহায়তা পেয়েছে কিনা তা নিয়ে আমরা সমালোচনা করছি । কিন্তু ব্যক্তি বা নাগরিক সমাজ নিজে থেকে উদ্যোগী হয়ে রাঙামাটি পাহাড়ি ধসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাদের পাশে দাড়াচ্ছি না। আর যখন কেউ কেউ সহায়তা দিতে উদ্যোমী হলো। তখন জেলা প্রশাসন বললো তাদের মাধ্যমে ত্রাণ দিতে হবে। এটি বলে যারা নিজে উদ্যোমি হয়ে ত্রাণ দিতে চাইলো। এই কথা বলে তাদের নিরউৎসাহিত করা হলো। এটি ভালো বা সুদূরপ্রসারি চিন্তা ছিলো না।
ত্রাণ কারা পেল আর কারা পেল না। এখানে যে বিষয় নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে, ২হাজার মানুষ যারা পাহাড় ধসে ক্ষতিগ্রস্ত তারাই আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রে বাঙালিরা যে পরিমান আশ্রয় নিয়েছে তার তুলনায় পাহাড়িরা কম এসেছে বাসস্থান ছেড়ে। এতে বুঝা গেল, যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের বেশির ভাগই আশ্রয় কেন্দ্রে আসেনি। আশ্রয় কেন্দ্রে যারা আসেনি তারা অনেকে খারাপ অবস্থায় জীবন যাপন করছে। তাদের কাছে কোন সহায়তা আজকে পর্যন্ত পৌঁছায়নি। কিন্তু প্রশাসন ও অন্যরা কথা বলছে যারা আশ্রয়কেন্দ্রে এসেছে, পঁচিশশত লোক তাদের নিয়ে। আর যারা আসেনি তাদের নিয়ে কোন কথা হচ্ছে না। অত্যন্ত দুঃখের বিষয় আমরা গত সাত দিন যাবৎ শুধু তাদের নিয়ে কথা বলছি। এর বাইরে যারা সহায়তার বাইরে পাহাড়ি দূর্গম এলাকায় বাস করছে তাদের কোন কথা আমরা বলছি না। এখন পর্যন্ত সেখানে কতজন আছে তার একটা সংখ্যা নিরুপণ করতে পারলাম না। সংখ্যাটা কত। আর অন্যরা কেনো ভেবে নিচ্ছে কেউ সেখানে যেতে পারবে না। গেলে কি সমস্যা হবে। আশ্রয়কেন্দ্রের বাইরে যারা আছে তারা কেনো আসলো না, আর আশ্রয়কেন্দ্রে না আসায় তারা কেনই বা ত্রাণ পেল না। তাদের কাছে কেনো ত্রাণ গেল না বা পেলই না তারই বা যৌক্তিকতা কি? প্রশাসন খালি বলছে সবাই ত্রাণ পাচ্ছে কেউ না খেয়ে নেই। তাহলে আশ্রয়কেন্দ্রে বাইরে যে লোক গুলা আছে তাদের কেমনে আছে সেটা কেউ জানতে চাইলো না । আর কেনই বা জানতে চাইলো না। তার কারণ কি? তারা কয়েকদিন ধরে অসহায় জীবন-যাপন করছে।