Sat. Sep 20th, 2025
Advertisements

5kখােলা বাজার২৪।। শুক্রবার, ২৩ জুন, ২০১৭: প্রতিবারেরমত প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ করতে রাজধানী ছাড়ছে মানুষ। বৃহস্পতিবার ছিল সপ্তাহের শেষ কর্ম দিবস। ফলে দুপুরের পর থেকেই ঘরমুখী মানুষের ঢল নামে রাজধানীর রেলস্টেশন ও বাস টার্মিনালগুলোতে।

অপরদিকে সকাল থেকেই ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের গজারিয়া অংশে ছিল যানজট। দুপুরের পর তা আরো দীর্ঘ হয়। পাশাপাশি ঢাকা-টাঙ্গাইল ও ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কে যানজট না থাকলেও যান চলেছে ধীরগতিতে। ঢাকা-সিলেট, ঢাকা-কুমিল্লা সড়কে যান চলাচল ছিল স্বাভাবিক। রাজধানীর কমলাপুর স্টেশন থেকে অধিকাংশ ট্রেনই চলেছে সিডিউল অনুযায়ী।

যারা আগে টিকিট কেটে রেখেছিলেন তারা নির্বিঘ্নে যাত্রা শুরু করছেন। আর যারা টিকিট কাটেননি তারা তাদের টিকিটের জন্য এক কাউন্টার থেকে অন্য কাউন্টারে ছুটছেন। রাজধানীর গাবতলীর বাস টার্মিনালে যাত্রীদের ঢল নামে দুপুরের পর থেকেই। দুরপাল্লার গাড়িগুলো যাত্রী নিয়ে নির্ধারিত গন্তব্যে ছেড়ে যাচ্ছে।

অন্যবার উত্তরের পথে যাওয়া যাত্রীদের ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানজটের যে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে এবার তেমনটি খুব একটা দেখা যায়নি। তবে চার লেনের নির্মাণ কাজের জন্য ঢাকা-টাঙ্গাঈল ও ঢাকা ময়মনসিংহ সড়কে জন্য যান চলেছে ধীরগতিতে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত বড় ধরনের যানজটের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মাহবুব আলম বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের কোথাও কোথাও গাড়ির লম্বা লাইন দেখা দিলেও অসহনীয় যানজট তৈরি হয়নি। যানজট নিরসনে সড়কে এক হাজারের মতো পুলিশ সদস্য কাজ করছেন।

ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে যানবাহনের চাপ স্বাভাবিক। শিমুলিয়া ঘাটে যাত্রীবাহী যানবাহনের তেমন চাপ নেই বলে ফেরি কর্তৃপক্ষ ট্রাক পারাপার করছে।

মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার মাহফুর রহমান বলেন, যানজট আছে, থাকবে । কিন্তু সহনীয় পর্যায় রাখাটা অতিব্য জরুরি। আশা করছি এবার তেমন সমস্যা হবে না। যানজট নিরসনে সড়কে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

অপরদিকে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার প্রবেশ দ্বার শিমুলিয়া ঘাটস্থ বিআইডব্লিউটিসির এজিএম শাহ খালেদ নেওয়াজ বলেন, সকালে ছোট গাড়ির চাপ কিছুটা থাকলেও খুব অল্প সময়ের মধ্যে ফাঁকা হয়ে যায়। যাত্রীবাহী গাড়ি না থাকায় এখন আমার পণ্যবাহী ট্রাক পার করছি। ঈদে যাত্রীদের পারাপার করার জন্য এবার ৪ টি রো রো ফেরিসহ ১৮টি ফেরি বহরে রয়েছে। তাছাড়া নৌ পথের দূরত্ব ৫ কিলোমিটার কমে যাওয়ায় ফেরির ট্রিপ সংখ্যাও বেড়ে গেছে।