খােলা বাজার২৪।।রবিবার, ২৫ জুন, ২০১৭: চাঁদের উপরে ঈদ উদযাপন নির্ভরশীল। চাঁদ যখন দেখা যাবে তখন ঈদ হবে। তবে ঈদের দুটি বৈশিষ্ট্য আমার নজর কাড়ে। একটি হচ্ছে ঈদের কয়েকদিন আগে থেকে ঢাকা ছাড়তে শুরু করে মানুষ। বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছুটে চলে কর্মজীবী মানুষ গুলো তাদের প্রাণটাকে হাতের মুঠোয় নিয়ে। ঈদে মহাসড়ক ফ্রি থাকায় দুর্ঘটনা বেড়ে যায়। দুর্ঘটনা বাড়ার অনেকগুলো কারণের মধ্যে রয়েছে বাস-ট্রাক ও লঞ্চের ছাদে যাত্রী বহন। অথচ ট্রাকে যাত্রী পরিবহন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। ট্রাক শুধু মালামাল পরিবহনের জন্য।
শনিবার রাতে চ্যানেল আই-এর আজকের সংবাদপত্র অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক ও ইতিহাসবিদ অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন।
সৈয়দ আনোয়ার হোসেন আরো বলেন, আমাদের দেশের জনসংখ্যা অনেক। আর এর বেশির ভাগ মানুষ কাজের তাগিদে রাজধানীসহ সারাদেশে বিভিন্ন জায়গায় বসবাস করেন। ঈদের ছুটিতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ফিরবেন বাড়িতে। বাড়ি ফিরতে নানা বিড়ম্বনায় পড়তে হয় প্রতিবছর। ঈদের ছুটিতে আসা মানুষ সড়ক, নৌপথে বিড়ম্বনার শিকার হয়ে থাকেন টিকেট কালো বাজারিদের জন্য। যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হয়। এমনিতে জেলা, উপজেলা পর্যায়ে সড়ক যোগাযোগ ভাল নয়। ঈদে বাড়তি চাপের ফলে সড়কে ধীরগতি সম্পন্ন যানবাহন চলাচল করে। নাড়ির টানে মানুষের এই ছুটে চলা, স্বজনের সাথে ঈদ করার জন্য এই প্রবণতা ক্রমে বাড়ছে।
তিনি আরো বলেন, ঈদে আমাদের মুসলিমদের আরেকটি বিষয়ে প্রবণতা বাড়ছে, সেটি হলো কেনাকাটার ধুম, যেটি আমাদের সময় এত বেশি ছিলো না। সেটির বাড়তি চাপ পড়ে শহরের রাস্তাঘাটে। তাই আমাদের সবাইকে একটু সচেতন হতে হবে। কারণ ঈদ আমাদের প্রাণের উৎসব, কিন্তু সেটি যাতে কোন প্রকার দুর্ঘটনার জন্য নষ্ট না হয় সেটি আমাদেরকেই দেখতে হবে।