করুণাময় গোস্বামী । খােলা বাজার২৪।। বুধবার, ২৮ জুন, ২০১৭: কয়েক দিন আগে আমেরিকার একটি গবেষণা সংস্থা জলবায়ুর উষ্ণায়ন সম্পর্কে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। তাতে বলা হয়েছে, বিশ্বতাপমাত্রা যে বাড়ছে, সে তো বটেই, তবে দুঃসংবাদ প্রখর হচ্ছে ভারত উপমহাদেশের জন্য।
সেখানে এখন থেকে উষ্ণতা প্রতিবছর অর্ধ ডিগ্রি করে বাড়বে। সুতরাং গরম বিপদ একেবারে ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে।
রবীন্দ্রনাথের কথা বিশেষভাবে মনে পড়ে। উষ্ণায়ন সম্পর্কে যখন কোথাও তেমন কোনো কথা হচ্ছে না, ভারতে তো নয়ই, তখন ১৯২৫ সালের ৮ মে, নিজের ৬৫তম জন্মদিনে, জন্মদিন পালন উপলক্ষে রবীন্দ্রনাথ মরু বিজয়ের গান লেখেন। কবি ভেবে নিয়েছিলেন এবং প্রস্তুতি নিয়েছিলেন যে সেদিনে শান্তিনিকেতনে বৃক্ষরোপণ উৎসব হবে এবং সে থেকে প্রভূত পরিমাণ বৃক্ষরোপণ করে আবহাওয়ার উষ্ণ হয়ে ওঠার প্রক্রিয়া রোধ করতে হবে। গাছকে তিনি বলেছেন মরু বিজয়ের কেতন। বললেন : ‘মরু বিজয়ের কেতন উড়াও শূন্যে, উড়াও উড়াও হে প্রবল প্রাণ/ধূলিরে ধন্য করো, ধন্য করো, করুণার পুণ্যে ধন্য করো করো, হে প্রবল প্রাণ/মৌনী মাটির মর্মের গান কবে উঠিবে ধ্বনিয়া মর্মর তব রবে/মাধুরী ভরিবে ফুলে ফুলে পল্লবে, হে মোহন প্রাণ/পথিক বন্ধু ছায়ায় আসন পাতি, এসো শ্যামসুন্দর/এসো বাতাসের অধীর খেলার সাথি, মাতাও নীলাম্বর/ ঊষায় জাগাও শাখায় গানের আশা, সন্ধ্যায় আনো বিরাম গভীর ভাষা/ রচি দাও রাতে সুপ্ত গীতের বাসা, হে উদার প্রাণ। ’ রবীন্দ্রনাথের জন্মদিন পালন উপলক্ষে শান্তিনিকেতনে পঞ্চবটী উৎসব হয়েছিল বা পাঁচটি বটগাছ লাগানো হয়েছিল।
বটের চারা লাগানোর সময় মরু বিজয়ের কেতন উড়াও গানটি কোরাস করে গাওয়া হয়েছিল। তবে উৎসব আকারে ব্যাপক বৃক্ষরোপণ পরিকল্পনা নিয়ে রবীন্দ্রনাথ অগ্রসর হন ১৯২৮ সালের বর্ষাকাল থেকে। ১৯৩১ সালে প্রকাশিত হয় তাঁর বৃক্ষকাব্য বনবাণী। সেখানে বৃক্ষরোপণ কবিতায় মরু বিজয়ের গানটি প্রথমাংশ হিসেবে প্রতিস্থাপন করেন। বনবাণী কাব্যটি রবীন্দ্রনাথ উৎসর্গ করেন বিজ্ঞানী জগদীশচন্দ্র বসুকে, যিনি আবিষ্কার করেন উদ্ভিদের প্রাণ আছে, দুঃখ-সুখের বোধে তারা প্রতিক্রিয়া জ্ঞাপন করে তাদের ভাষায়। অনন্তের আনন্দরূপ, মনুষ্যসহায় রূপ প্রকাশ পাচ্ছে বৃক্ষলতায়—সে কথাটি রবীন্দ্রনাথ বনবাণী কাব্যে প্রকাশ করেছেন এবং একটি ঐতিহাসিক প্রকৃতিঘনিষ্ঠ আন্দোলনের সূচনা করে গেছেন—গাছ লাগাও, জগৎ বাঁচাও। গাছ লাগাও শীতল করো, শীতল হও। এখন যখন সব কিছু গরম হয়ে উঠছে এবং বলা হচ্ছে ভারত উপমহাদেশ বছরে অর্ধ ডিগ্রি করে বেশি গরম হয়ে ওঠার খপ্পরে পড়তে যাচ্ছে, তখন উপায় কী রবীন্দ্রনাথকে স্মরণ না করে, যিনি প্রায় শতবর্ষ আগে উষ্ণায়ন সম্পর্কে সতর্ক করেছেন এবং মরু বিজয়ের জয়পতাকা ওড়াতে বলেছেন গাছ লাগিয়ে। দুঃখের কথা, তিনি যে উপমহাদেশে জন্মেছিলেন, যেখানে তিনি আন্দোলন শুরু করেছিলেন, সে স্থানটিই বছর বছর গরম হয়ে উঠে জীবন অতিষ্ঠ করবে।
দীর্ঘকালের গবেষণায় জলবায়ু বিপর্যয়ের কারণগুলো শনাক্ত করা হয়েছে এবং এর প্রতিকারগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। সম্ভাব্য বিপর্যয় কোন কোন বিপদ ডেকে আনতে পারে, সে ব্যাপারে বারবার হুঁশিয়ার করা হচ্ছে। এসব বহুল বিজ্ঞাপিত ব্যাপার। যেসব দেশ অতিমাত্রায় বৃহৎ শিল্প সংস্থাপন করেছে এবং ততোধিক মাত্রায় কার্বন নিঃসরণ করছে, তাদের কাছে বারবার আবেদন করা হচ্ছে যে জলবায়ুকে বিষাক্ত করছে প্রধানত তারা এবং তাদের জন্যই যেসব দেশের এ ব্যাপারে তেমন কোনো ভূমিকা নেই, তারাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, হতে যাচ্ছে। ক্ষতি হচ্ছে পৃথিবীর। ক্ষতি একেবারে হাতেনাতে ধরাও পড়ছে। আশঙ্কা করা হয়েছিল, উষ্ণায়নের ফলে মেরু অঞ্চলের জমাট বরফ গলতে শুরু করবে। সে গলাও শুরু করেছে, অনেক দিন হয়ে গেল। এখন গলছে একেবারে ভয়াবহ আকারে। বলা হয়েছিল, অকালে গরম পড়বে, শীত চলে আসবে দিনকাল বিবেচনা না করে। তেমন হচ্ছে। বলা হয়েছিল, অপ্রত্যাশিতভাবে তুফান উঠবে, সে উঠছে, বৃষ্টি হবে, সে হচ্ছে। কোনো দিন যেসব অঞ্চলে ভারি বৃষ্টি হয় না, সেসব জায়গায় ভারি বৃষ্টি হবে, সে হচ্ছে। মরুর দেশে বন্যা হয়ে যাচ্ছে বৃষ্টির ফলে।
একটা জলবায়ু চুক্তি হওয়ার প্রয়োজন দেখা দিয়েছিল অনেক আগেই। সে নিয়ে দেনদরবার চলছিল আগে থেকেই। সমস্যা দেখা দিল মতৈক্য নিয়ে। রামের মত হয় তো শ্যামের মত হয় না, শ্যাম রাজি হয় তো যদু রাজি হয় না। আমেরিকাকে রাজি করানোই ছিল কঠিন সমস্যা। আমেরিকা সর্বপ্রধান শিল্পায়িত দেশ। ভারী শিল্পের রাজা। জলবায়ু সংকটে তার দায়িত্বও রাজতুল্য। সে দায়িত্বের মধ্যে একটি হচ্ছে তহবিল গড়ে তোলা। সে এক আন্তর্জাতিক তহবিল, গড়ে উঠবে প্রধানত শিল্পায়িত, অগ্রসর দেশগুলোর দানে, সেখান থেকে সমর্থন নিয়ে সব দেশ জলবায়ু মেরামতের কাজে এগোবে। নিজে তহবিল গড়বে নিজের উদ্যোগে ও অর্থায়নে, আন্তর্জাতিক জলবায়ু তহবিল থেকেও দান পাওয়া যাবে। সব বিবেচনা করে প্যারিসে বসে জলবায়ু চুক্তি করা হলো। নানা নামে এই চুক্তিকে ডাকা হচ্ছে। কেউ বলছেন, খুব ভালো লাগছে শুনতে, জলবায়ুসংক্রান্ত মতানৈক্য ঘোচানোর প্যারিসপত্র। বড় কথা, আমেরিকা রাজি হয়েছে, চীন রাজি হয়েছে, জার্মানি রাজি হয়েছে, জাপান রাজি হয়েছে, ভারত রাজি হয়েছে। বড় দেশগুলো রাজি, এ দেশগুলোকে বলা হচ্ছে পলিউটর কান্ট্রিজ। সে এক অসামান্য সুসংবাদ যে পলিউটররা রাজি হয়েছে পলিউশন রোধে ব্যবস্থা নিতে ও পলিউশনে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে তহবিল গঠনের মাধ্যমে সাহায্য করতে। ধারণা এগোচ্ছিল ভালোভাবেই। ‘প্যারিস ক্লাইমেট ডিল’ একটি অত্যন্ত কার্যকর বিশ্বজলবায়ু মঞ্চ হিসেবে আবির্ভূত হতে যাচ্ছিল।
সেই ঐতিহাসিক চুক্তিটিকে এবার হুমকিতে ফেলে দিল আমেরিকা। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বললেন, তিনি আমেরিকাকে এই চুক্তিতে রাখতে চান না। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য যখন প্রচার-প্রচারণা চলছিল, তখন থেকেই তিনি প্যারিস ক্লাইমেট ডিলের বিরুদ্ধে বলে আসছিলেন। সে কেন, তিনি অনেক আন্তর্জাতিক চুক্তির বিরুদ্ধে বলছিলেন, নাফটাকে তো একহাত নিচ্ছিলেন বক্তৃতায়-বিতর্কে। ট্রাম্প ইরানের বিরুদ্ধে বলছিলেন এবং তাঁর ধারণা যে ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক ঐকমত্য হয়েছে, সে এক মহাভুল কাজ, সে থেকে আমেরিকাকে বের করে আনতে হবে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প বলছেন, এই প্যারিস ক্লাইমেট ডিল হলো এবং সেই সঙ্গে এক বৃহৎ জলবায়ু মেরামত তহবিল গড়ে তোলা হলো, তাতে আমেরিকা এত অর্থ প্রদান করবে কেন? ট্রাম্প সব সময় দেখতে চাইছেন কোথায় যাচ্ছে আমেরিকার স্বার্থ, সে স্বার্থ কে রক্ষা করছে, কিভাবে রক্ষা করছে। সবাই মিলে জলবায়ু দূষিত করবে, আমেরিকা তার জন্য অর্থ ব্যয় করতে যাবে কেন? শুধু তা-ই নয়, এই চুক্তিকে তিনি বলছেন হোক্স। অর্থাৎ চুক্তির পশ্চাত্পট রচনা করেছে যেসব তথ্য-উপাত্ত, তাদের তিনি বিশ্বাস করতে চাইছেন না, হোক্স বলে উড়িয়ে দিতে চাইছেন। সে এক মহা গোলমেলে ব্যাপার। এত দিনকার বিজ্ঞানসম্মত প্রস্তুতিকে আপনি হোক্স বলতে পারেন না। সে যা হোক, কথা হচ্ছে আমেরিকা জলবায়ু সংকট মোকাবেলা তহবিলে তার জন্য নির্ধারিত অর্থ দেবে না। কেন দেবে? ট্রাম্পের প্রশ্ন। আমেরিকা তার কঠোর শ্রমে অর্জিত অর্থ আমেরিকার মঙ্গলের জন্য ব্যয় করবে। জলবায়ুকে যা পলিউট করছে, সেসব পলিউটর সাহায্যের আমেরিকা অর্থ দেবে কেন। প্রসঙ্গক্রমে ভারতের কথা এসেছে। কলকারখানা ভারতও কিছু কম স্থাপন করেনি। কার্বন নিঃসরণ কম হচ্ছে না সে দেশ থেকে। আমেরিকার আন্দোলন আমেরিকা ফার্স্ট, মেক ইন আমেরিকা, ইন্ডিয়া বলছে মেক ইন ইন্ডিয়া, জগতের তাবৎ বড় কারখানা সে হোক প্যারিস, সে হোক আমেরিকা, তাকে আহ্বান জানাচ্ছে, আপনারা ভারতে আসুন, এখানে যৌথভাবে উৎপাদন করুন, এখান থেকে রপ্তানি করুন, আশপাশের সাশ্রয় হবে, ভারতে জব সৃষ্টি হবে। ট্রাম্পও তো জব জব করেই বেড়াচ্ছেন। সৌদি রাজার সঙ্গে বিপুল অর্থের অস্ত্র চুক্তি করলেন। প্রেস কনফারেন্সে তিনবার জব উচ্চারণ করলেন, এই চুক্তিতে জব তৈরি হবে আমেরিকায়। জব ছিল তাঁর নির্বাচনী অঙ্গীকার। ইন্ডিয়া পলিউটও করবে, আবার জলবায়ু মেরামতির জন্য বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার পেতে থাকবে, সে হয় না। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, আমরা জলবায়ু চুক্তি মেনে নিয়েছি বিশ্বের প্রতি আমাদের দায়িত্ববোধ থেকে, ডলার পাওয়ার আশায় নয়। আমরা নিরাপদ বাসযোগ্য পৃথিবী চাই।
চীন-জাপান-জার্মানি-ফ্রান্স-রাশিয়া বলছে, তারা জলবায়ু চুক্তি এগিয়ে নিয়ে যাবে। চীন বলছে, তারা ডলার দেবে যত প্রয়োজন, আমেরিকা যদি চুক্তি ত্যাগ করে করুক। চীনের যথেষ্ট সাড়া আছে, সদিচ্ছার উদয় হলে দিতেই পারবে, জাপান অনেক উদ্বৃত্ত অর্থের মালিক, চাইলে দিতে পারবে, অন্যরাও পারবে। কিন্তু একটি বিশ্ব তহবিল থেকে আমেরিকা সরে গেলে যে শূন্যতা হবে, তা অন্য যেকোনো দেশের পক্ষে পূরণ করা কঠিন। আমেরিকা পৃথিবীর সর্বপ্রধান দেশ। সে দেশকে উপেক্ষা করে কোনো বিশ্ব উদ্যোগ যথেষ্ট মজবুত হবে, তা এখনো ভাবা যায় না। জলবায়ুর জন্য সবাইকে এগোতে হবে, আমেরিকাকেও সঙ্গে রাখতে হবে।
পৃথিবীতে এখন দেশনেতার ছড়াছড়ি, বিশ্বনেতা নেই। দেশকবির ছড়াছড়ি, বিশ্বকবি নেই। দেশভাবুকের ছড়াছড়ি, বিশ্বভাবুক নেই। অথচ মানুষের ইতিহাসের সবচেয়ে কঠিন এই বিদ্বিষ্টকালে এমন কতিপয় মানুষের আবির্ভূত হওয়া প্রয়োজন, যাঁরা নিয়ত মিলনের আহ্বান জানাবেন। কোনো আবিষ্কারই কোথাও গিয়ে দাঁড়াবে না, মানুষ যদি ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়ে যায়; কোনো কারখানা কোনো কাজে আসবে না, যদি আকস্মিক হামলায় তা ভেঙে পড়ে। মানুষের জন্য শান্তির ব্যবস্থা রচনা করা একটা নিতান্ত কঠিন কাজ। যার হাতে শক্তির জোগান আছে, সে ইচ্ছা করলেই কারো মাথায় বাড়ি দিতে পারে। তাতে লাভ হয় না। আজ মানুষের মন পরিবর্তনের জন্য আন্দোলন গড়ে তোলা দরকার অতি উচ্চ রাজনৈতিক মঞ্চ থেকে। আমেরিকার ডোনাল্ড ট্রাম্প, রাশিয়ার পুতিন, জার্মানির মার্কেল, ফ্রান্সের ম্যাখোঁ, চীনের প্রেসিডেন্ট, ভারতের প্রধানমন্ত্রী সবে মিলে বা কেউ কেউ মিলে বিশ্বমৈত্রীর আন্দোলনের ডাক দিতে পারেন। সেই ডাকে সবাইকে সঙ্গে নেওয়ার চেষ্টা করতে পারেন। তাতেই সব কিছু দাঁড়াবে, নইলে সবই ভেঙে যাবে। কবি ইয়েটস বলেছিলেন, কেন্দ্র ধরে রাখতে পারছে না, সব কিছু এদিক-ওদিকে ভেঙে পড়ছে। এভাবে চললে প্যারিস ক্লাইমেট ডিল নয় শুধু, সব ডিলই ভেঙে পড়বে। গর্বাচেভ আসার আগে পৃথিবী দীর্ঘকাল ধরে বাইপোলার ছিল। সমাজতান্ত্রিক মেরু ও গণতান্ত্রিক মেরু। সমাজতান্ত্রিক মেরু ভেঙে গেল। ইউনিপোলার ওয়ার্ল্ডে গণতান্ত্রিক মেরুর প্রবক্তা থেকে গেল আমেরিকা। এখন সেই মেরুটি ভেঙে পড়ছে। ইইউ ভেঙে ব্রিটেন বেরিয়ে গেল। আমেরিকা ইইউ নিয়ে মাথা ঘামাতে চাইছে না। জার্মানি বলছে, ইইউকে আমরা দেখব, ফ্রান্স বলছে, ইইউকে আমরা দেখব। কে যে এই ভেঙে যাওয়া ইউনিয়নকে জোড়া দেবে, নাকি ভেঙেই যাবে, সে দেখা যাবে পরে। ইউএন হিউম্যান রাইটস কাউন্সিল ভেঙে দিতে চাইছে আমেরিকা। নাফটা ভেঙে যেতে চলেছে, গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিল ভেঙে যেতে বসেছে। পাকিস্তান-আফগান সম্পর্ক ভেঙে যেতে বসেছে। সার্ক ভাঙনের পথে। উত্তর কোরিয়া ভাঙনের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে। মিলনের সব সেতু ভেঙে দিয়ে সবাই বিচ্ছিন্নভাবে সুখে থাকতে চাইছে। এখন এই গেল, এই গেল অবস্থা।
লেখক : শিক্ষাবিদ