বদিউল আলম মজুমদার ।। খােলা বাজার২৪।। মঙ্গলবার, ৪ জুলাই, ২০১৭: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসতে যাচ্ছে। দেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য এ ধরনের সংলাপ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য সংলাপ হওয়া অত্যন্ত জরুরি। সংলাপে কোন কোন বিষয় বা অংশ আলোচনায় থাকবে সে বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে একটি ভাল প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে হবে। তবে সংলাপ সফল করার জন্য বড় দরকার কমিশনের সদিচ্ছা।
নির্বাচন কমিশনের যদি সদিচ্ছা থাকে তাহলে সংলাপ সফল হতে পারে। মনে হচ্ছে এবারের সংলাপে বিএনপিও অংশগ্রহণ করবে। আমি আশা করি, সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণের মাধ্যমেই সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে এবং তা সফল হবে। তবে রাজনৈতিক দলগুলোকে একটি প্রস্তুতি নিতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলো কমিশনের কাছে কী চায়। অর্থাৎ তাদের যৌক্তিক চাওয়াটা কমিশনের কাছে উপস্থাপন করতে হবে। আমাদের দুর্ভাগ্য দেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দলগুলো কোনো বুদ্ধিবৃত্তিক আলোচনায় অংশগ্রহণ করতে পারে না। কারণ আলোচনায় অংশগ্রহণের জন্য পূর্বপরিকল্পনা বা প্রস্তুতি সম্পন্ন করে না তারা। আমার মনে হয়, রাজনৈতিক দলগুলোকে আইন-কানুন ও বিধি-বিধানসমূহ পর্যালোচনা করে সুস্পষ্ট ধারণা নিয়ে আলোচনায় অংশগ্রহণ করা উচিত। রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনে কী ধরনের পরিবর্তন চয় সে বিষয়ে সুস্পষ্ট বক্তব্য নির্বাচন কমিশনের কাছে উপস্থাপন করতে হবে। অর্থাৎ একাদশ সংসদ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর দেওয়া প্রস্তাব বা দাবি-দাওয়াগুলো গুরুত্ব দিয়ে পর্যালোচনা করতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলো কমিশনের উপর আস্থা স্থাপন করতে পারে সেটা কমিশনকে নিশ্চিত করতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর কমিশনের উপর আস্থাশীল হলে একটি ভালো নির্বাচন অনেক সহজ হবে বলে মনে করি আমি।
পরিচিতি: সম্পাদক, সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)
সূত্র: আমাদের সময়.কম