খােলা বাজার২৪।। মঙ্গলবার, ১১ জুলাই, ২০১৭: বিশ্বসভ্যতা যদি ধ্বংস হয়ে যায় বা মানবজাতির জন্য যদি মহাবিপর্যয় নেমে আসে তাহলে বাঁচার উপায় কি? সাধারণ মানুষের জন্য হয়তো এর কোনও জবাব নেই। কিন্তু যারা টাকার কুমির এবং একইসঙ্গে অতিশয় ভীতু তারা বসে নেই। তারা নিজেদের নিরাপত্তার জন্য বিপুল অর্থ ব্যয়ে কিনে নিচ্ছেন নিরাপদ বাঙ্কার-অ্যাপার্টমেন্ট। মাটির নিচে তৈরি ১৫ তলাবিশিষ্ট এসব বাঙ্কার টর্নেডোর মতো চরম প্রাকৃতিক বিপর্যয় বা পূর্ণ মাত্রার পারমাণবিক বিস্ফোরণের মধ্যেও বহাল তবিয়তে টিকে থাকতে পারবে বলে দাবি করছে এসব বাঙ্কার বিক্রির সঙ্গে জড়িত প্রতিষ্ঠান।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যানসাসে অবস্থিত এসব মজবুত অবকাঠামো আসলে ছিলো মার্কিন সামরিক বাহিনীর ক্ষেপণাস্ত্রের গুদাম। ২০০৮ সালে ল্যারি হল নামে একব্যক্তি সামরিক বাহিনীর ছেড়ে দেয়া এসব বাঙ্কার কিনে নেন এবং ২ কোটি ডলার ব্যয় করে সেগুলিকে বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্টে পরিণত করেন।
অ্য়াপার্টমেন্ট ভবনে রয়েছে সুইমিং পুল, জিম এবং লাইব্রেরি
ল্যারি হলের কোম্পানির নাম সারভাইভাল কন্ডো। কোম্পানিটি এখন রূপান্তরিত অ্যাপার্টমেন্টগুলো বিক্রি করছে প্রতিটি ১৫ লাখ থেকে শুরু করে ৪০ লাখ ডলার দামে। ক্রেতারা একটি পুরো অ্যাপার্টমেন্ট বা তার অর্ধেকটাও কিনতে পারেন। এসব অ্যাপার্টমেন্টের দেয়াল নয় ফুট চওড়া ঢালাই কনক্রিটের তৈরি।
প্রাক্তন ক্ষেপণাস্ত্রের গুদামগুলির শীর্ষভাগেও রয়েছে এমন কাঠামো যা ৫০০ মাইল বেগে বয়ে যাওয়া ঝড়েও টিকে থাকতে পারবে। বাস্তবে প্রচ-তম টর্নেডোতেও বাতাসের গতি থাকে ৩০০ মাইল পর্যন্ত।
প্রতিটি অ্যাপার্টমেন্টে রয়েছে ৫৪ হাজার বর্গফুটের বেশি জায়গা যেখানে ৭৫ জন মানুষ অন্তত পাঁচ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারবে।
অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের উপরের অংশে যে কাঠামো ৫০০ মাইল বেগে বয়ে যাওয়া ঝড়েও টিকে থাকতে সক্ষম
সারভাইভাল কন্ডোর অ্যাপার্টমেন্টগুলোতে ফাইবার অপটিকের ইন্টারনেট রয়েছে এবং প্রতিটি ভবনের মধ্যে নেটওয়ার্ক সংযোগ রয়েছে। এগুলো যে অনুমানযোগ্য বিপর্যয় থেকে রক্ষা করবে তাই নয় বরং এগুলোতে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা যুক্ত করা হয়েছে। ভবনগুলিতে সিনেমা হল, ইনডোর সুইমিং পুল ও স্পা, প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্র, পানশালা, পর্বতারোহনের দেয়াল, জিম এবং লাইব্রেরি রয়েছে।
সূত্র: দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট