খােলা বাজার২৪।। বুধবার, ১২ জুলাই, ২০১৭: শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, কারিগরি শিক্ষার সম্প্রসারণে দেশের অবশিষ্ট ২৩টি জেলায় বিশ্বমানের পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট স্থাপন করা হবে। নতুন ৪টি বিভাগীয় শহরে মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা ছাড়াও প্রতিটি বিভাগীয় শহরে একটি করে মহিলা কারিগরি স্কুল ও কলেজ (টিএসসি) স্থাপন করা হবে। বর্তমান সরকার কারিগরি শিক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে দেশের ১১৪টি কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং কোসের্র ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশকালে এসব কথা বলেন তিনি। এ বছর অনলইনে ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কারিগরি শিক্ষা অগ্রাধিকারের অগ্রাধিকার। ২০০৯ সালে আওেয়ামী লীগ সরকার গঠনের সময় কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষার্থী ছিল শতকরা ১ ভাগের কিছু বেশি। বর্তমানে ১৪ ভাগ শিক্ষার্থী কারিগরি শিক্ষায় পড়াশুনা করছে। ২০২০ সালের মধ্যে তা শতকরা ২০ ভাগ ছাড়িয়ে যাবে।
নুরুল ইসলাম বলেন, কারিগরি শিক্ষার মান উন্নয়নে সিঙ্গাপুরের নানিয়ান পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে ৪২০ জন শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। আরো ১ হাজার ১৫০জন শিক্ষককে এ প্রতিষ্ঠানে পর্যায়ক্রমে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। এছাড়া চীনে আরো ৫৮১ জন শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, শুধু ডিগ্রী অর্জনের শিক্ষা হলেই চলবে না। এমন দক্ষতা অর্জন করতে হবে, যাতে দেশে ও বিদেশে কাজ করার সুযোগ পাওয়া যায়। বিশাল জনশক্তিকে কারিগরি শিক্ষায় দক্ষ করে তুলতে পারলে তারা বিশ্বের যেকোন জায়গায় কাজ করার সুযোগ পাবে। দক্ষতা না থাকলে দেশেই কাজ পাবে না। বাস্তব কাজের সাথে যোগ না থাকলে শিক্ষা অর্থহীন।
৪ বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সের ২৯টি টেকনোলজিতে মোট আসন সংখ্যা ৪৮ হাজার ১৫০টি। এর বিপরীতে এবার আবেদন পড়ে ১ লাখ ৫৫ হাজার ৫৭৭টি। মেধা তালিকায় নির্বাচিত ৪১ হাজার ৮০০ শিক্ষার্থীর ভর্তির ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে বাকী আসনগুলো পূরণ করা হবে। অবশিষ্ট শিক্ষার্থীরা বেসরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ভর্তির সুযোগ পাবেন।
অনুষ্ঠানে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর, অতিরিক্ত সচিব এ কে এম জাকির হোসেন ভূঞা ও এফ এম আমিনুল হক এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মোস্তাফিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।