খােলা বাজার২৪।। সোমবার, ১৭ জুলাই, ২০১৭: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষক ফাহমিদুল হকের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তির আইনের ৫৭ ধারায় মামলা করা হয়েছে। এতে তাঁর কোনো সম্মান নষ্ট হয়নি। সম্মান নষ্ট হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের।’
রোববার ঢাবির অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে আয়োজিত এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন বক্তারা। গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. ফাহমিদুল হকের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার ও তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা বাতিলের দাবিতে আয়োজিত এ মানববন্ধনে বক্তব্য দেন শিক্ষক, ছাত্র ও সাংবাদিকরা।
সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সামিনা লুৎফা বলেন, ‘ফাহমিদুল হকের বিরুদ্ধে মামলা করার মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় লজ্জিত হয়েছে। যে ব্যক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পড়ায় সেই ব্যক্তির নামে আইসিটি আইনে মামলা করা হয়েছে। এটা লজ্জাজনক।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনকে না জানিয়ে আইনের আশ্রয় নিয়েছেন এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রসাশনকে অতি দ্রুত তাঁর বিরুদ্ধে করা এ মামলা প্রত্যাহার করার দাবি জানান তিনি।
৫৭ ধারা বাতিলের দাবি জানিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও সাংবাদিক সুশান্ত সিনহা বলেন, ‘এ আইনের মাধ্যমে সংবাদপত্র ও ব্যক্তির কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে। মানুষ তার কথা বলার স্বাধীনতা পাচ্ছে না।’ তিনি আরো বলেন, ‘সরকার ৫৭ ধারা বাতিল করার কথা বলেছে। কিন্তু এর পরিবর্তে ১৯ ধারা করার চেষ্টা চলছে।’ তাই তিনি এ ধারারও বাতিল করার কথা বলেন। এ সময় তিনি ফাহমিদুল হকের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার করার দাবি জানান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. তানজিম উদ্দিন বলেন, ‘পুরো বাংলাদেশ ৫৭ ধারার বিরুদ্ধে আন্দোলিত। কেননা সবাই ভয় পায় যে এ আইনে মামলা হতে পারে কি না।’ তিনি বলেন, ‘যে সরকার ক্ষমতায় আসে সে সরকার তার ইচ্ছেনুযায়ী আইন তৈরি করে। সরকারের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো এক সরকার আইন বাতিল করে আবার অন্য সরকার এসে তা তৈরি করে।’