Wed. Apr 23rd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলা বাজার২৪।। সোমবার, ১৭ জুলাই, ২০১৭: 57চীন ও রাশিয়ার হাইপারসনিক সমরাস্ত্রের কারণে যুক্তরাষ্ট্র যখন উদ্বিগ্ন তখনই গত সপ্তাহে দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ায় নতুন একটি হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উড্ডয়ন সফলভাবে সম্পন্ন হলো। অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে গবেষণায় সহযোগিতার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র শব্দের চেয়ে পাঁচ গুণেরও বেশি গতিসম্পন্ন ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করেছে যা ঘণ্টায় তিন হাজার আট’শ ৩৬ মাইল থেকে শুরু করে সাত হাজার সাত’শ মাইল গতিতে ছুটতে সক্ষম।
হাইপারসনিক ইন্টারন্যাশনাল ফ্লাইট রিসার্চ এক্সপেরিমেন্টেশন প্রোগ্রামের আওতায় দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার উমেরা পরীক্ষণ রেঞ্জে অন্তত একটি সফল হাইপারসনিক উড্ডয়ন সম্পন্ন হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী ম্যারাইজ পেইন নিশ্চিত করেছেন যে, গত ১২ জুলাই পরীক্ষণ কার্যক্রম শেষ হয়েছে।
৫৪ মিলিয়ন ডলারের যৌথ উদ্যোগে মার্কিন বিমান বাহিনী, বোয়িং, অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষাবিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক বিভাগ, অস্ট্রেলিয়ার বিএই সিস্টেমস এবং কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয় জড়িত রয়েছে।
হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র মাত্র ১৭ মিনিটের কম সময়ে এক হাজার মাইল দূরত্ব অতিক্রম করতে পারে। যদিও অনেক ক্ষেপণাস্ত্রই এর চেয়ে দ্রুতগতিতে ছুটতে পারে, কিন্তু সেগুলোর বাঁকা পথচিহ্ন ধরে আগাম সতর্কীকরণ উপগ্রহের মাধ্যমে সেগুলোকে সহজেই চিহ্নিত করা সম্ভব। আর পেন্টাগন এমন ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করেছে যেগুলো শত্রুর ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রকে মধ্য আকাশে আঘাত হানতে এবং ধ্বংস করে দিতে সক্ষম। ফলে এধরণের ক্ষেপণাস্ত্রের হুমকি দূর হয়েছে।
অন্যদিকে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র চিহ্নিত করা অনেক কম সহজ। এটির গতিপথ সরল ও সোজা। ফলে এটিকে চিহ্নিত করা অপেক্ষাকৃত কঠিন। আবার এই ধরণের ক্ষেপণাস্ত্র মাঝপথে দিক পরিবর্তন করতে পারে। সেজন্যে এটিকে বাধা দেয়া অত্যন্ত কঠিন।
হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা তৈরির ফলে যুক্তরাষ্ট্র স্বল্প সময়ের নোটিসে বা বিনা নোটিসে শত্রুকে আঘাত হানতে পারবে। ফলে য্দ্ধু প্রতিরোধে এটি একটি শক্তিশালী হাতিয়ার হতে পারে।
সূত্র: দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট