Tue. Oct 14th, 2025
Advertisements

Jamalpurখােলা বাজার২৪।। বৃহস্পতিবার, ১৭ আগস্ট, ২০১৭ঃ যমুনা নদীর পানি সামান্য হ্রাস পেলেও জামালপুরের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। গেলো ২৪ ঘণ্টায় যমুনার পানি ১০ সেন্টিমিটার কমে আজ বৃহস্পতিবার বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে বিপদসীমার ১২৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

উজানে যমুনার পানি কিছুটা হ্রাস পেলেও ভাটিতে ব্রহ্মপুত্র, ঝিনাই, জিঞ্জিরামসহ শাখা নদীগুলোর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বকশীগঞ্জ ও জামালপুর সদরের বিস্তীর্ণ এলাকা নতুন করে বন্যা প্লাবিত হয়েছে।

এদিকে, সরিষাবাড়ির স্থল এলাকায় তারাকান্দি-ভুয়াপুর সড়ক বাঁধ ভেঙে সরিষাবাড়ির বিস্তীর্ণ এলাকা নতুন করে প্লাবিত হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড জামালপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী নব কুমার চৌধুরী জানিয়েছেন, বুধবার মধ্যরাতে পানির প্রবল তোড়ে বাঁধটি ভেঙে যায়। তিনি আরও জানান, বাঁধটি রক্ষায় সেনাবাহিনীর একটি টিম কাজ করছে।

গত ৩ দিনে সব মিলিয়ে জেলায় শিশুসহ বন্যার পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের।
বন্যার পানি ছড়িয়ে পড়ায় আরও ১৫৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নতুন করে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এনিয়ে জেলায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের সংখ্যা দাঁড়ালো ৯৬৮টি।

এদিকে, বন্যায় সব মিলিয়ে জেলার ৭টি উপজেলার ৫৫টি ইউনিয়ন ও ৬ পৌরসভার ৬ লক্ষাধিক বানভাসি মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। সরকারিভাবে জেলায় ২৩টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। অনেকেই আশ্রয় নিয়েছে বিভিন্ন বাঁধ ও উঁচু সড়কে।

কাজ নেই, ঘরে খাবার নেই, তার উপর গো-খাদ্য জোটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে অসহায় বানভাসি মানুষগুলোকে।

জামালপুরের অতিরিক্তি জেলা প্রশাসক রাসেল সাবরিন জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত সবমিলিয়ে জেলায় ২৩৮ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এছাড়া হাতে তৈরি শুকনো রুটি ও গুড় বিতরণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।