Fri. Sep 12th, 2025
Advertisements

25অনলাইন ডেস্ক, শুক্রবার, ৬ অক্টোবর, ২০১৭: নাটকের শেষ অঙ্কে কঠিনতম সমীকরণের মুখে দাঁড়িয়ে হোর্হে সাম্পাওলির আর্জেন্টিনা। গাণিতিক অনেক হিসেব দাঁড় করিয়ে আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপে হয়তো নেওয়া যায়। কিন্তু প্রতিটি সমীকরণে প্রথম শর্তটা একই, জিততেই হবে ইকুয়েডরের বিপক্ষে। ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ের ৩৫তম দলের বিপক্ষে ৪ নম্বর দলের খেলা। কাগজে-কলমে হয়তো আর্জেন্টিনার সহজ জয়ের ম্যাচ, কিন্তু ফুটবল মাঠের খেলা। হতশ্রী চেহারার আকাশি-নীল জার্সিধারীদের দেখে এই মুহূর্তে জয়ের নিশ্চয়তা দেওয়াটাই সবচেয়ে কঠিন কাজ।

বিপদটা শুধু নিজেদের ফর্মে নয়। খেলাটা ইকুয়েডরের মাঠে, প্রতিযোগিতামূলক ফুটবলে যেখানে আর্জেন্টিনার সর্বশেষ জয় ২০০১ সালে। ১৬ বছরে ৪ বার ইকুয়েডরের মাঠে স্বাগতিকদের মুখোমুখি হয়েছে আর্জেন্টিনা, হার ও ড্র সমান ২টি করে। ঘরের মাঠে মোট ৮ বার আর্জেন্টিনাকে আতিথ্য দিয়েছে ইকুয়েডর। এর মধ্যে আর্জেন্টিনা জয় পেয়েছে মোটে ৩টিতে। রাশিয়া বিশ্বকাপের টিকিট পেতে অসাধ্যসাধন করতে হবে মেসিদের।

২০০১ সালের সেই ম্যাচে ১৯ মিনিটে মাঝমাঠ থেকে গোল করে আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে দিয়েছিলেন অধিনায়ক হুয়ান সেবাস্তিয়ান ভেরন। ৩৪ মিনিটে পেনাল্টি থেকে হারনান ক্রেসপোর গোলে জয় নিশ্চিত হয়েছিল আর্জেন্টিনার। দলে তখন ডিয়েগো সিমিওনে, পাবলো সোরিনের মতো মিডফিল্ডাররা খেলছেন। মার্সেলো বিয়েলসার দলটি তখন বিশ্ব ফুটবলেরই অন্যতম পরাশক্তি। এখনকার দলে মেসি, দিবালা, হিগুয়েইনদের মতো তারকা ফরোয়ার্ড থাকলেও মিডফিল্ডের শূন্যতাটা পূরণ হয়নি। পেরুর বিপক্ষে ম্যাচে ফার্নান্দো গ্যাগোর মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ায় ভুগেছে গোটা দলই।

কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে মেসিসহ দলের বাকি ফরোয়ার্ডদেরও। একের পর এক সুযোগ তৈরি করেছেন মেসি। কিন্তু গোল করতে পারেননি সতীর্থরা। ফিরতি বলে গোল করতে না পারার দায় থাকবে মেসির ওপরেও। কোচ হোর্হে সাম্পাওলির হাই-প্রেস ফুটবলের সঙ্গে চিরায়ত পাসিং ফুটবল মিলে শুধু বলই পায়ে রাখতে পেরেছেন মেসি-ডি মারিয়ারা। ফিনিশিংয়ের এই দুরবস্থার দ্রুত সমাধান না হলে ১৯৭০ সালের পর আবারও আর্জেন্টিনাবিহীন বিশ্বকাপ ফুটবল দেখবে বিশ্ব।