খােলা বাজার২৪।।শনিবার, ১৪ই অক্টোবর, ২০১৭: মার্কিন সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, দুই বছর আগে রাশিয়ান হ্যাকাররা যখন ক্যাসপারস্কি সাইবার সিকিওরিটি সফটওয়্যারের গোপনীয়তা ভেদ করছিল, তখন ইসরায়েলি গোয়েন্দারা নীরব দর্শক হয়ে ছিল।
নিউইয়র্ক টাইমস ও ওয়াশিংটন পোস্টে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, রাশিয়ানরা তখন বিভিন্ন মার্কিন গোয়েন্দা কর্মসূচি সম্পর্কে তথ্য জোগাড় করতে চেয়েছিল।
কিন্তু ইসরায়েলি গোয়েন্দারা নিজেরাই যখন ওই সফটওয়্যারের গোপনীয়তা ভেদ করতে যায়, তারা রাশিয়ানদেরই তৎপরতার কথা জেনে যায়।
ক্যাসপারস্কি অবশ্য বলেছে তাদের এই ধরনের কোনো ঘটনার কথা জানা নেই। সংস্থাটি আরো দাবি করেছে, তারা এর সাথে আদৌ জড়িত নয় বা রুশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও তাদের কোনো যোগসাজশ কখনো ছিল না।
গত মাসেই মার্কিন প্রশাসন সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে তাদের কোনো কম্পিউটারে ওই রুশ সংস্থার সফটওয়্যার আর ব্যবহার করা হবে না।
জানা যাচ্ছে যে ইসরায়েলিরাই না কি মার্কিন প্রশাসনকে এ ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েছিল, তার পরই ক্যাসপারস্কিকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা এজেন্সি (এনএসএ)-র একজন কর্মী তার বাড়ির কম্পিউটারে ক্যাসপারস্কি অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার বসিয়েছিলেন – তার বাড়ির কম্পিউটার থেকেই বহু গোপনীয় নথিপত্র চুরি হয়েছে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।
তবে এনএসএ, হোয়াইট হাউস বা ওয়াশিংটনে ইসরায়েলি দূতাবাস এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি।
নিউইয়র্ক টাইমস জানাচ্ছে, তারা রাশিয়ার দূতাবাসকে এ ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানাতে অনুরোধ করেছিল – কিন্তু তারা সেই অনুরোধের কোনো জবাব দেয়নি।
আর ক্যাসপারস্কি সংস্থার পক্ষ থেকেএকটি বিবৃতি জারি করে এই গোটা ঘটনায় তাদের কোনো দায় নেই বলে দাবি করা হয়েছে।
তারা বলছে ক্যাসপারস্কি এ বিষয়ে আদৌ অবহিত ছিল না।
টিলারসনকে ট্রাম্পের চ্যালেঞ্জ
নিজ প্রশাসনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসনকে বুদ্ধিমত্তা পরিমাপক ‘আইকিউ পরীক্ষা’ তার সাথে অংশ নেয়ার চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফোর্বস ম্যাগাজিনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প ওই চ্যালেঞ্জ জানান।
চলতি বছরের জুলাইয়ে পেন্টাগনে এক বৈঠকের শেষে টিলারসন তাকে ‘বোকা’ বলেছিলেন, প্রকাশিত এমন খবর নিয়ে প্রশ্নের জবাবে ওই সংবাদকে ‘মিথ্যা’ হিসেবে দাবি করে চ্যালেঞ্জটি জানান ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় এটা মিথ্যা সংবাদ। কিন্তু যদি তিনি (টিলারসন) এটা বলে থাকেন, তাহলে আইকিউ পরীক্ষার মাধ্যমেই আমাদের তুলনা হতে পারে। ওই পরীক্ষায় কে জিতবে, আমি তা আপনাদের বলতে পারি।’
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের এই মন্তব্যকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে তার সম্পর্কের টানাপোড়েনের সর্বশেষ প্রকাশ হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকেরা। যদিও এই ধরনের গুঞ্জন ট্রাম্প বারবারই অস্বীকার করে আসছেন। মঙ্গলবারও তিনি টিলারসনের সাথে দুপুরের খাবার খেয়েছেন।
এর আগে সাংবাদিকদের কাছে দেয়া মন্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতি আস্থার কথাও পুনর্ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘আমি কাউকে ছাঁটাই করতে যাচ্ছি না, লোকজনকে ছেঁটে ফেলায় আমি বিশ্বাসী না।’
ফোর্বস ম্যাগাজিনে ট্রাম্পের চ্যালেঞ্জ বিষয়ে জানতে চাইলে হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি সারাহ হাকেবি স্যান্ডার্স একে ‘কৌতুক’ বলে উড়িয়ে দেন। মঙ্গলবারের নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, ‘এটা কৌতুক ছিল। আপনাদের খানিকটা সেন্স অব হিউমার থাকা উচিত’।
সূত্র : বিবিসি