Tue. May 6th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

এ কে এম শাহনাওয়াজ
খােলা বাজার২৪। শুক্রবার, ২৭ অক্টোবর ২০১৭: বাংলাদেশ অনেকটা এগিয়েছে, এ কথা এখন সবাই মানেন। কিন্তু এ ক্ষেত্রে যদি বলা হয় কোন কোন ক্ষেত্রে এগিয়েছে তখন আবার নতুন করে হিসাব কষতে হবে।
দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়েছে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে। বড় উদাহরণ বাদ দিলেও প্রতিদিন যাপিত জীবনে মানুষ এই অগ্রগতি উপভোগ করছে। সব পেশা ও আয়ের মানুষেরই ক্রয়ক্ষমতা অনেক বেড়েছে। পরিবর্তন এসেছে জীবনযাত্রায়। এর পাশাপাশি বিদ্যুত্ব্যবস্থার উন্নয়নও চোখে পড়ার মতো। আমরা সভ্যতার উন্নয়ন আর পতন নির্দেশ করতে গিয়ে ঘূর্ণায়মান বৃত্তের কথা বলি; যেখানে উত্থান, বিকাশ, পতন ও নব উত্থানের কথা আছে। ইতিহাসে চোখ বোলালে আমরা দেখব সব কটি পর্যায়ের পরিক্রমণের অভিজ্ঞতাই বাঙালির আছে। কার্যত এখন আমরা নব উত্থান পর্বে আছি। এই উত্থান কচ্ছপের গতিতে হবে, না চিতার গতিতে এগোবে, তা নির্ভর করবে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কিভাবে এগিয়ে নেওয়ার দায়িত্ব পালন করবে তার ওপর। আর প্রজন্মকে আমরা কেমনভাবে প্রস্তুত করাব সেটিও বড় বিবেচ্য বিষয় হবে।

শঙ্কাটা এখানেই। একটি জাতির সর্বক্ষেত্রে যদি নৈতিকতার অবক্ষয় ঘটে, তবে উন্নয়নের পথে চিতার গতি তো দূরের কথা, কচ্ছপের গতি পাওয়াও কঠিন। আমাদের বর্ষীয়ান অর্থমন্ত্রী অনেক পাকা রাজনীতিকের মতো কপট কথা বলায় হয়তো অভ্যস্ত হতে পারেননি, তাই মাঝেমধ্যে চরম সত্য কথা বলে ফেলেন। অতি সম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে আগামী নির্বাচন প্রসঙ্গে বলেছেন ‘প্রতিযোগিতা হলেই আমাদের অনেক এমপিকে পাস করতে বেগ পেতে হবে। ’ কারণ হিসেবে তিনি তাঁদের সততার অভাবকেই দায়ী করেছেন।

প্রশ্ন হচ্ছে, শুধু রাজনীতির অঙ্গন কেন—নৈতিকতার স্খলন কোথায় না ঘটেছে! দুর্নীতি পৃথিবীর বেশির ভাগ দেশেই কমবেশি আছে। তবে আমাদের দেশে দুর্নীতি—আরো নরম করে বললে অনৈতিকতার সংক্রমণটা যেন একটু বেশি। মানতে হবে রাজনৈতিক প্রশ্রয় এ দেশে দুর্নীতির সবচেয়ে বড় অনুঘটক।

রাষ্ট্রক্ষমতার দায়িত্বে যাঁরা আসীন হন, তাঁদের প্রধান কর্তব্যই হলো সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা। আমাদের মতো দারিদ্র্যক্লিষ্ট ও সমস্যাক্রান্ত দেশের সরকার পরিচালকদের অসংখ্য বাস্তব সংকট আছে। আছে সুশাসন প্রতিষ্ঠার পথে নানা প্রতিবন্ধকতা। এর পরও রাষ্ট্র পরিচালনায় যদি জনকল্যাণের প্রশ্নটি সর্বাধিক গুরুত্ব পায়, তবে ধীরে হলেও সুন্দরের লক্ষ্যে পৌঁছা খুব কঠিন হয় না। আর এই সুন্দরের হাতছানিতে সাড়া দিতে প্রয়োজন নিখাদ গণতন্ত্রের পথে হাঁটা।

কিন্তু আমাদের দলীয় রাজনীতির স্বার্থবাদী ধারা প্রায়োগিক ক্ষেত্রে জনকল্যাণকে কখনো প্রথম বিবেচনায় রাখেনি। সুন্দরের স্বপ্ন নিয়ে জনকল্যাণের প্রয়োজনে রাষ্ট্রক্ষমতায় যাওয়ার বিকল্প নেই। সেই অর্থে ক্ষমতার রাজনীতি নিন্দার নয়। তবে আমাদের বড় রাজনৈতিক দলগুলোর রাষ্ট্রক্ষমতায় যাওয়া-আসা এবং নিজেদের অবস্থান-স্থিতি সব কিছু বিশ্লেষণ করলে সেখানে একটি ক্রম তৈরি হয়। যেমন—১. ক্ষমতায় যাওয়া এবং ভবিষ্যতে ক্ষমতাসীন থাকাকে পাকা করার জন্য দলীয় শক্তি বৃদ্ধি করা। এই শক্তির দুটি শাখা থাকে—ক. পেশিশক্তি, খ. অর্থশক্তি। ২. শক্তির সঞ্চয় নিশ্চিত করার জন্য নির্দ্বিধায় দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া। ৩. জনগণের দল হতে না পারায় সব ক্ষেত্রে দলীয় বিবেচনা প্রাধান্য পায়। ৪. অন্যায় প্রশ্রয় পাওয়ায় অন্যায়কারী ক্রমে অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠে।

এসব কারণে সব শাসন পর্বে সরকারি দলগুলো নিজেদের তৈরি করা ঘূর্ণিতে নিজেরাই অধঃপতিত হয়। রাশ টেনে ধরার মতো কোনো লাগাম অবশিষ্ট থাকে না। রাষ্ট্রক্ষমতার কালপরিসরের মাঝপর্ব থেকেই দলের জনপ্রিয়তায় ধস নামতে থাকে। শেষ পর্যন্ত তলানিতে এসে পৌঁছে। চূড়ান্ত হোঁচট খাওয়ার আগে কোনো দলই আত্মসমালোচনা করে না। আর সবচেয়ে ভয়ংকর মজার বিষয় হচ্ছে, জনপ্রত্যাখ্যানে ভূলুণ্ঠিত হওয়ার পরও নিজেদের শুদ্ধ করে না। জনগণকে পুনরায় নির্বোধ ভাবে এবং পুরনো বৃত্তেই আবর্তিত হতে থাকে।

দলান্ধ নয়, এমন সচেতন মানুষের কাছে নানা কারণ ও যুক্তিতে বিএনপির রাজনীতির সুবিধাবাদী চরিত্রটি স্পষ্ট। ভুঁইফোড় দল যদি জনকল্যাণকামী আদর্শের পথে না হাঁটে, তবে এর গতি যেদিকে যাওয়ার কথা বিএনপির অধোগতিও সেদিকে হয়েছে। তা ছাড়া নানা মত ও পথের এক দল সুবিধাবাদী মানুষের সমন্বয়ে চলা কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষে জনকল্যাণকামী গণতান্ত্রিক হওয়া সম্ভব নয়। তাই স্বার্থবাদী দলগুলোকে একসময় হোঁচট খেতে হয়। এই সূত্রেই ২০০৮ সালের নির্বাচনে ভোটারের হাতে জামায়াতের মতোই বিএনপি পরিত্যাজ্য হয়েছিল। কিন্তু এতেও তারা শুদ্ধ হয়নি। ২০০২ সালের পর এবং পরবর্তী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়কার প্রবল ঝাঁকির পরও আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যে আত্মশুদ্ধি হবে বলে আশা করা হয়েছিল, তার প্রকাশ দেখার সৌভাগ্য হয়নি দেশবাসীর। জনগণের বিপুল রায়ের পর যে আত্মবিশ্বাস আওয়ামী লীগ নেতৃত্বের মধ্যে প্রত্যাশিত ছিল, তার বদলে দল পুরনো বৃত্তবন্দি হয়ে গেল অন্তত সুশাসন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে। এরপর বর্তমান সময়ে উন্নয়নের ধারা দেখার পরও দলের ভেতর রাজনৈতিক সাধুতার অভাবে জনগণের হতাশা কমানো যাচ্ছে না।

সাধারণ মানুষের আকাঙ্ক্ষা পূরণের অঙ্গীকার নিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতায় বসা সরকার অনেক বেশি দলীয় সরকারে রূপান্তরিত হয়েছে। বিরোধী দলের অতীত সমালোচনায় আওয়ামী লীগ নেতৃত্ব যতটা মুখর, আত্মসমালোচনায় তার সিকি ভাগ সময়ও ব্যয় করছে না। ফলে রাষ্ট্রপরিচালনার অনেক ক্ষেত্রে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে সরকার। নানা ধরনের সন্ত্রাস আর দুর্নীতি অবদমনের কার্যকর ব্যবস্থা না নেওয়ায় সন্ত্রাসী ও দুর্নীতিবাজরা প্রবল শক্তিমান হয়ে ক্রমে রাষ্ট্রীয় শক্তিকে অতিক্রম করছে। নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে না পারায় অসহায় হয়ে পড়ছে সরকার।

দলীয় নয়—দলবাজি রাজনীতি যেখানে প্রতিষ্ঠিত, সেখানে কোনো সরকারের হাতেই আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা পাবে না। কারণ এসব দল নিয়ন্ত্রকের কাছে দলীয় মানুষদের চেয়ে আপনজন কেউ নয়। হাজার অন্যায় করার পর দলের ছাতার নিচেই আশ্রয় পায়। সন্ত্রাসী আর দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে দলীয় কারণেই হোক বা অন্য কোনো কারণেই হোক, যদি নিরপেক্ষভাবে আইনের শাসন প্রয়োগ করা না যায়, তাহলে কোনো আস্ফাালন বা বক্তৃতার ভাষা দিয়ে স্বস্তি ফিরিয়ে আনা যাবে না।

অনৈতিকতার ভাইরাস যখন ছড়িয়ে পড়ে তখন তাতে আক্রান্ত হয় সব ক্ষেত্র। এখন তো বড় বড় খাতে দুর্নীতির কথা চাউর হচ্ছে। শতসহস্র কোটি টাকা লোপাট হচ্ছে ব্যাংকিং খাতে। এ যেন থামছেই না। নিয়োগ বাণিজ্য হচ্ছে চারদিকে। দুর্নীতির যে চিত্র দৃশ্যমান, সরকারি ভাষ্যে তা তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিলেও ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষ তা উড়িয়ে দিতে পারছে না। নিয়োগ বাণিজ্য অথবা রাজনৈতিক বিবেচনায় শিক্ষক নিয়োগ—দুটিই দুর্নীতি। এখন সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এ দুটিই অতি বাস্তব হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ অভিশাপ থেকে মুক্ত কে করবে তা আমরা বুঝতে পারছি না।

আমাদের শিশু শিক্ষার্থীদের নিয়ে চলছে ছেলেখেলা। অদ্ভুত সব পাঠ্যক্রম ও অবৈজ্ঞানিক পরীক্ষার ফাঁদে ফেলে পিষ্ট করা হচ্ছে। এসব দুরাচারী অক্টোপাস থেকে আমাদের কে রক্ষা করবে! কয়েক দিন পর পর সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় আর বিজ্ঞজনরা শিক্ষা নিয়ে বড় বড় নীতি নির্ধারণ করেন। কিন্তু তা বাস্তবতার নিরিখে করা হচ্ছে কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। এ দেশে উচ্চশিক্ষার মানে যে অবক্ষয় ঘটেছে, বোঝা যায় তা নিয়ে দায়িত্ববানদের চিন্তিত দশা দেখে। তাই শিক্ষামন্ত্রীর নেতৃত্বে সম্প্রতি বিজ্ঞজনদের বৈঠকে মানোন্নয়নের জন্য কৌশলপত্র তৈরির সিদ্ধান্তের কথা জানা গেল। তথ্যটি নিশ্চয়ই খুব আশাজাগানিয়া। কিন্তু প্রতিবেদনটি পড়ে আমি আশ্বস্ত হতে পারলাম না। কারণ আমরা জানি শিক্ষা একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। হঠাৎ কেউ উচ্চশিক্ষিত হবেন না। জ্ঞানচর্চা ও গবেষণায় আলো ছড়াবেন না। তাই আমাদের বিশ্বাস মানসম্মত উচ্চশিক্ষা লাভের ক্ষেত্র তৈরি করতে হলে কৌশলপত্র তৈরি করতে হবে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবকাঠামো ও শিক্ষার মানোন্নয়নের জন্য। অতঃপর তাকাতে হবে মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক এবং উচ্চশিক্ষা প্রদানে দায়িত্ববান কলেজগুলোর দিকে। মেধা, প্রশিক্ষণ আর জীবিকার জায়গাটিকে অস্বীকার করে সুশিক্ষার ভিত্তি তৈরি হবে কেমন করে! এ কঠিন সত্যটি নিয়ে ‘কৌশলপত্র’ তৈরি করে এগোতে দেখলাম না কখনো। দুর্ভাগ্য, আমাদের এ দেশে বিশেষ প্রকল্পের জন্য পাওয়া অর্থ খরচের পথ তৈরিকে সামনে রেখে নীতি নির্ধারিত হয়। বাস্তব চাহিদা গুরুত্ব পায় না কোথাও। সব বুঝেও আমরা অনায়াসে অনৈতিকতার সঙ্গেই হাত মেলাই।

নৈতিকতা মুখ থুবড়ে পড়ছে না কোথায়? সাধারণ মানুষ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী থেকে শুরু করে আইন-আদালত কোথাও কি আস্থা রাখতে পারছে? প্রতিকারের জন্য আজকাল থানায় যাওয়ার ভরসা পায় না সাধারণ মানুষ। প্রায়ই পত্রিকায় বেরোচ্ছে পুলিশ দ্বারা হয়রানির কথা। এখানে নাকি নানা ধরনের বাণিজ্য এখন ওপেন সিক্রেট। বিচিত্র সব নামও আছে। পুলিশে যোগদানের আগে নিয়োগ বাণিজ্য। পুলিশ হওয়ার পর আছে গ্রেপ্তার বাণিজ্য, রিমান্ড বাণিজ্য, থানা থেকে ছাড়িয়ে আনা বাণিজ্য—এমন সব নানা ধারার বাণিজ্য। আদালত নিয়ে বাণিজ্যের কথা ভুক্তভোগীরা বলেন। জামিন বাণিজ্য, সাজা কমবেশি বাণিজ্য ইত্যাদি কথাও এখন প্রকাশ্যে বলা হয়।

আগেও ছিল, এখন একটু বেশি করে পত্রিকায় আসছে দেশের বড় আমলাদের কথা। নিজেদের হাতে ক্ষমতা থাকায় প্রায়ই নিজেদের নানা সুযোগ-সুবিধা বাড়িয়ে নিচ্ছেন। অবশ্য আমলাতন্ত্রের এটি পুরনো অভ্যাস। নৈতিকতার প্রশ্ন যদি সামনে থাকত, তাহলে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে রাষ্ট্রের সব পেশাজীবীর সঙ্গে একটি ভারসাম্য রক্ষার প্রশ্নটি কাজ করত। আর সরকার যখন নানা কারণে আমলাতন্ত্রের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে তখন এ ধরনের পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। আমাদের অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি, দেশে বড় কোনো নির্বাচন ঘনিয়ে এলে আমলাতন্ত্র নিজেদের সুবিধা আদায়ে সরকারকে অনেকটা বাধ্য করে। তাহলে ‘নির্বাচনের প্রয়োজনে’ একে অন্যের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে!

আবার রাজনীতির অঙ্গনেই ফিরে আসি। অনৈতিকতা, অসাধুতা আর দুর্নীতি, সব যুগেই ছিল আর থাকবেও। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এর রাশ কতটা টেনে রাখা যায়। এই রাশ টানার সঙ্গে রাজনৈতিক শুদ্ধতার প্রশ্নটিই সবচেয়ে জরুরি। সামরিক শাসন না হলে রাষ্ট্রক্ষমতার পালাবদলে রাজনৈতিক দল আর রাজনীতিকরাই থাকেন। সেখানে যদি নৈতিকতার স্খলন ঘটে, তবে প্রশ্রয় পাবে সব ক্ষেত্র। এ দেশের বাস্তবতায় ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলগুলোর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা লোভী হয়ে পড়বে। দুর্বৃত্ত আচরণ করবে। সুশাসন প্রতিষ্ঠার পথে না হাঁটতে পারলে নৈতিকতার স্খলন ঘটবে। দুর্নীতি ছড়িয়ে পড়বে প্রশাসনে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, আইন-আদালত কেউ নষ্ট ভাইরাসমুক্ত হতে পারবে না।

এ কারণেই আমাদের বক্তব্য, উন্নয়নের কথা প্রচার করে আমরা কি অন্য সব অন্ধকার ঢেকে রাখতে চাইছি? যদি তা-ই হয়, তবে দেশপ্রেমহীন এ ধারার রাজনীতি বহাল রেখে নব উত্থানের বৃত্তকে গতিশীল করা কঠিন হয়ে পড়বে। সব ক্ষেত্রে অনৈতিকতার বাড়বাড়ন্ত দেখতেই থাকব।

লেখক : অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

[email protected]