খােলা বাজার২৪। বুধবার, ২২ নভেম্বর, ২০১৭:বাংলাদেশে ফেসবুকে নবী মুহম্মদ (স:) কে নিয়ে কে কি আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন জানি না। তবে এই নিয়ে বাংলাদেশের যে সকল স্বঘোষিত ইসলামরক্ষক নবির মর্যাদার ধুঁয়ো তুলে প্রতিবেশী হিন্দু ভাইদের ঘরে আগুন দিয়ে ইসলাম রক্ষার জিগির তুললো, প্রকৃত পক্ষে এই শ্রেণির ধর্মোন্মাদদের হাতেই নবি মুহাম্মদ (স:) বা ইসলাম ধর্ম গোটা পৃথিবী জুড়ে অবমাননা ও অপব্যাখ্যার বলি হচ্ছে।
একইসঙ্গে আক্রান্ত হচ্ছে গোটা জাতি। আরও পরিষ্কার করে বলা যায়, নবির অন্ধ বিরুদ্ধচারী বা কুৎসাকারী অপেক্ষা নবি তাঁর ধর্মান্ধ, অসচেতন অজ্ঞ অনুগামীদের হাতেই সবচেয়ে বেশি অবমাননার ও অপব্যাখ্যার শিকার হয়ে হয়েছে। গোটা পৃথিবীতে।বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বে।যা অত্যন্ত লজ্জার ও উদ্বেগের।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, দায়বদ্ধতা হেতু শিক্ষাঙ্গনে ধর্মীয় ও সামাজিক সচেতনতার উদ্যোগ গ্রহণ করায় আমি নিজেই অসচেতন, ধর্মান্ধদের হাতে বছর তিনেক আগে প্রাণঘাতী হামলার শিকার হয়েছি।এখনও প্রায়শ হুমকি শুনতে হয়—যা ক্রমশ গা সওয়া হয়ে উঠেছে। নবির ধর্মীয় সহিষ্ণুতা ও শান্তির বাণী,ধর্মনিরপেক্ষতার চেতনা আজ এক শ্রেণির মুসলিমদের হাতেই সবচেয়ে বেশি নিগৃহীত। এই সুযোগ নিতেই তো ওৎ পেতে রয়েছে নবির আদর্শের শত্রুরা। কায়েমি ধান্দা বাজের দল।অর্থনৈতিক সাম্রাজ্যবাদের নায়ক পশ্চিমীরা। এই ধর্মান্ধরাই যে এদের লক্ষ্য পূরণের হাতিয়ার- এই সত্য প্রচারে মুসলিম সমাজের মাতব্বরের দল জানি না আর কবে তৎপর মাঠে নামবে!
এ জাতি আর কত কোণঠাসা হবে! রোহিঙ্গা মুসলিমদের দশা দেখেও কি এদের শিক্ষা হল না? অবশেষে, বাংলাদেশে হিন্দুদের ঘর পোড়ানোর প্রতিবাদে সরব না হয়ে এই বাংলার বা এই দেশের নীরবতা পালনকারী মুসলিমদের নিউটনের তৃতীয় সূত্রটির কথা আরও একবার স্মরণ করাতে চাই। অশনি সংকেতটি কিন্তু পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে!
সূত্র : কলকাতা২৪*৭