Wed. Sep 24th, 2025
Advertisements

খােলা বাজার২৪। রোববার, ১০ ডিসেম্বর, ২০১৭: এবার বাংলাদেশি তরুণ বিজ্ঞানীরা সোফিয়ার মতো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন রোবট 'বন্ধু' তৈরি করেছেন।বন্ধু রোবটটি প্রশ্নের উত্তর দেয়ার ক্ষেত্রে সোফিয়ার চেয়েও কম সময় নেয়।নতুন এই রোবটটি কথা বলতে পারে বাংলা ও ইংরেজি ভাষায়।

ইনফরমেশন টেকনোলজি ভিলেজ নামে একটি প্রতিষ্ঠান এ রোবটটি তৈরি করেছে।প্রতিষ্ঠানটি কর্ণধার ‘ও' লেভেল পড়ুয়া তিন বন্ধু তারা হলেন নাজমুস সাকিব, সাইফুর রহমান, জান্নাতুল নাইম অর্ণব।বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড-২০১৭ এ রোবটটি প্রদর্শন করা হয়।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন রোবট সোফিয়াকে নিয়ে যখন উচ্ছ্বাস, তার পাশেই তিন শিক্ষার্থীর সোফিয়ার মত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার রোবটটি বেশ সাড়া জাগায়।বন্ধুর বয়স দুই সপ্তাহ।বন্ধু তৈরিতে খরচ হয়েছে ২৫ হাজার টাকা।বন্ধু কথা বলতে পারে বাংলা ও ইংরেজি ভাষায়।এমনকি প্রশ্নের উত্তর দেয়ার ক্ষেত্রে সোফিয়ার চেয়ে কম সময় নেয় বন্ধু।

বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড-২০১৭ সমাপনী অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত তথ্যপ্রযুক্তির বিস্ময়কর আবিষ্কারের জন্য এ রোবটটিকে পুরস্কৃত করেছেন।

রোবটটির নির্মাতা নাজমুস সাকিব বলেন, ‘বন্ধু’ বাংলা ও ইংরেজি দুটি ভাষায় উত্তর দিতে সক্ষম।এছাড়া এর সামনে একটি মুঠোফোন রয়েছে। যার মাধ্যমে খুব সহজেই প্রশ্নকর্তার ছবি নিতে পারে।বিভিন্ন ধরনের প্রশ্নের মুখোমুখি হতে পারে, উত্তরও দিতে পারে। প্রশ্ন শুনে বুঝতে পারে। এছাড়া তার কাছে কোনো তথ্য জানতে চাওয়া হলে সেটারও উত্তর দিতে পারে।সেই প্রশ্নের উত্তর তার কাছে না থাকলে সে গুগলে সার্চ করে জেনে নিয়ে উত্তর দেয়।

অপর আবিষ্কারক সাইফুর রহমান জানান, পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এই রোবটটিকেই আরো উন্নত করা সম্ভব হবে।রোবটটি প্রতি নিয়ত নতুন নতুন বিষয় শিখছে চারপাশ থেকে।বন্ধু রোবটটির বয়স মাত্র দুই সপ্তাহ। সোফিয়ার জন্ম ১ বছর হয়েছে, সে অনেক কিছু শিখেছে।তেমন বন্ধুও বয়সের সঙ্গে সঙ্গে শিখবে। 

এ বিষয়ে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, আমি বন্ধুর সঙ্গে কথা বলেছি।তার জন্ম বাংলার মাটিতে হয়েছে দুই সপ্তাহ আগে। সোফিয়ার মতো সে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেক কিছু শিখবে।আমরা বিশ্বের প্রথম সোশ্যাল রোবট সোফিয়াকে নিয়ে এসেছিলাম।আগামী বছর আমাদের দেশে তৈরি সোশ্যাল রোবট ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডে হাজির করব। আমরা রোবটিকসের পথে রয়েছি।আমরা সোস্যাল রোবট তৈরি করে সারা বিশ্বে তাক লাগিয়ে দিতে চাই।আমরা বিশ্বাস করি সে মেধা ও যোগ্যতা আমাদের তরুণদের আছে।