Wed. Sep 17th, 2025
Advertisements

খােলা বাজার২৪। রবিবার, ১৭ডিসেম্বর, ২০১৭: গত এক সপ্তাহ বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের মধ্যে খাদ্য বিতরণ কর্মসূচি বন্ধ ঘোষণা সময়সীমা শেষ হচ্ছে আজ (রোববার/১৭ ডিসেম্বর)। সরকারের এক বিজ্ঞপ্তিতে ১১ ডিসেম্বর থেকে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ কর্মসূচি বন্ধ রাখতে সব বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে অনুরোধ জানিয়েছিল স্থানীয় প্রশাসন।

মূলত খাদ্য অপচয় রোধ করতে ও রোহিঙ্গাদের প্রাপ্ত খাদ্য বিক্রির প্রবণতা রোধে এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।

ত্রাণ বিতরণ কর্মসূচী সাময়িক বন্ধ ও পুনরায় চালু প্রসঙ্গে বিবিসি বাংলার সঙ্গে কথা বলেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক আলী আহমদ। এক সপ্তাহ খাদ্য বিতরণ কর্মসূচী বন্ধের ফলে কী ধরণের পরিবর্তন আসতে পারে?

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের ত্রাণ কার্যক্রম আমরা সাময়িকভাবে বন্ধ রেখেছি। যাতে ত্রাণের অপচয় না হয়। ত্রাণ কর্মসূচি শুধুমাত্র বেসরকারি এনজিওগুলোর জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে। আন্তর্জাতিক এনজিওগুলোর জন্য নয়, তারা সাভাবিকভাবেই কাজ করবে। স্থানীয় যারা সাহায্য করতো তারাও কাজ করবে। আজ ডিসেম্বর সাময়িক স্থগিতাদেশটি প্রত্যাহার হয়ে যাবে। এছাড়া ১৮ ডিসেম্বর থেকে আমরা স্বাভাবিক কার্যক্রম চালাব কোন অসুবিধা নেই।

শীতে রোহিঙ্গাদের জন্য কি যথেষ্ট প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে কি না জানতে চাইলে জবাবে আলী আহমদ বলেন, যথেষ্ট পরিমাণে কম্বল আছে এবং সবাইকে দেয়া হচ্ছে। আমার ধারণা মতে, ১ লক্ষ ৬০ থেকে ৫০ হাজার পরিবার থাকতে পারবে। তারমধ্যে এক থেকে দেড় লাখ কম্বল দেয়া হয়েছে। এছাড়াও আরো কম্বল দেয়া হচ্ছে। কম্বল ছাড়াও অন্যান্য শীতের কাপড়ও দেয়া হচ্ছে।

শীতের সময় অসুখ-বিসুখের প্রকোপ বেড়ে যায়। রোহিঙ্গাদের জন্য শীতের প্রস্তুতি কেমন?

এমন প্রশ্নের জবাবে আলী আহমদ বলেন, প্রতিটা বিষয়ে আমরা সমন্বয় করছি এবং দেখছি। কয়েকদিন আগে ডিপথেরিয়ার মতো কিছু দেখা দিয়েছিল। সেটাও এখন নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে। যদিও রোগটি ডিপথেরিয়া কিনা তা নিয়ে সন্দেহ আছে। ডিপথেরিয়ার রোগটি নির্ণয়ের ব্যবস্থা আমাদের এখানে হয় না। তবে আমরা পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিচ্ছি।