খােলা বাজার২৪। মঙ্গলবার,, ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৭:৮ বছর ধরে বছরের প্রথম দিনে বিনামূল্যে বই পৌঁছে দেয়া হচ্ছে শিক্ষার্থীদের হাতে । তবে এবার স্কুল শিক্ষার্থীদের হাতে শতভাগ নতুন বই পৌঁছানো নিয়ে এখনো রয়েছে কিছুটা সংশয়। বই ছাপানো এবং পাঠানোর কাজ বাকি থাকায় সংশয় তৈরী হয়েছে। এনসিটিবি’র কর্মর্কতা বলেন,‘শুধু মাধ্যমিকের বই পৌঁছানো নিয়েই কিছুটা ঝুঁকি রয়েছে। ’
এ বছর প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মোট ৩৫ কোটি ৪২ লাখ ৯০ হাজার ১৬২টি বই দেয়া হবে। এনসিটিবি’র তথ্য অনুসারে, এরই মধ্যে প্রাক-প্রাথমিকের শতভাগ, প্রাথমিকের ৯৮.০২ শতাংশ এবং মাধ্যমিকের ৯৮.১৭ ভাগ বইয়ের কাজ শেষ হয়েছে। এখন চলছে বই পাঠানোর কাজ। তবে, বেশ কিছু পরিবর্তনের কারণে কার্যাদেশ দিতে দেরি হওয়ায় মাধ্যমিকের শেষ লটের কাজ এখনও শেষ করতে পারেনি ছাপাখানাগুলো।
এ সম্পর্কে ছাপাখানার একজন কর্মী বলেন, ‘আমাদের মুদ্রণ কাজ শেষ, বাধাই কাজ মোটামুটি শেষের দিকে এবং যেগুলো বাধাই করা শেষ সেগুলো পাঠানো হয়ে গেছে আর বাকি যে কাজগুলো আছে সেগুলো ২০-২৫ তারিখের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে।’
এদিকে এনসিটিবি’র দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ‘শুধু মাধ্যমিকের বই পৌঁছানো নিয়েই কিছুটা ঝুঁকি রয়েছে।’
জাতীয় শিক্ষক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান নারায়ণ চন্দ্র সাহা বলেন, ‘শতভাগ বই এই মাসের ২৫ তারিখের মধ্যে যে রেসিডিউগুলো আছে সেখানে সকল বই চলে যাবে এবং আমরা একটি আনন্দঘন পরিবেশে জানুয়ারির ১ তারিখে বই উৎসব পালন করব। যেসব প্রতিষ্ঠান আগের বছরের বইয়ে এ বছরের স্টিকার লাগিয়ে সরবরাহ করবে, তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
তবে, গতবার একটি গোষ্ঠীর দাবি মেনে বিভিন্ন বইয়ে যে পরিবর্তন আনা হয়েছিল, এবার সেভাবেই বই ছাপা হচ্ছে। সংশোধন করা হয়েছে শুধু বানান, ছবি আর কবিতার ভুল।
সূত্র : ডিবিসি নিউজ