Wed. Sep 17th, 2025
Advertisements

খােলা বাজার২৪। বুধবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৭:  ‘সহনীয় মাত্রায় ঘুষ’ খাওয়া ও ‘অফিসাররা চোর, মন্ত্রী চোর’ বিষয়ক বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করলেও সাংবাদিকদের কোনও প্রশ্নের উত্তর দেননি তিনি।

মন্ত্রীর লিখিত বক্তব্য পাঠ শেষে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি আজ কোনও কথা বলব না। যা বলার লিখিত দিয়েছি। আপনাদের জন্য লাঞ্চের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে; লাঞ্চ খান, গল্পগুজব করুন। আজ আর কিছু বলব না।’

বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুর ১টায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শিক্ষামন্ত্রী। লিখিত বক্তব্য পাঠ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্ন না নিয়েই সম্মেলনকক্ষ ত্যাগ করেন তিনি।

প্রশ্নের জবাব দেবেন না জানালেও টিআইবি শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেছে বলে মন্তব্য চান এক সাংবাদিক। জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘আমি তো বলেছি, আজ আর কোনও কথা বলব না। তাদের কাজ তারা করেছেন। আমার এসব নিয়ে কিছু বলার নেই।’ এ কথা বলেই তিনি চেয়ার ছেড়ে চলে যান।

এর আগে, লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘গত ২৪ ডিসেম্বর শিক্ষা ভবনের একটি অনুষ্ঠানের সংবাদ বেশিরভাগ গণমাধ্যমে যথোপযুক্তভাবে তুলে ধরা হলেও কতিপয় পত্রিকা ও অনলাইন মিডিয়ায় আমার বক্তব্য খণ্ডিতভাবে প্রকাশিত হওয়ায় জনমনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। সেই বিভ্রান্তির ওপর ভিত্তি করে কতিপয় বিশিষ্টজন ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের মতামতও জনমনে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।’ এই বিষয়টি স্পষ্ট করতেই এই প্রেস ব্রিফিং আয়োজন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

লিখিত বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ‘ডিআইএ কর্মকর্তারা তাঁদের অতীতের দুঃখ-কষ্টের কথা বলেছেন। আমি যখন মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিই, তখন সাধারণ শিক্ষকরা আমার কাছে তাঁদের বিভিন্ন হয়রানির কথা বলতেন। তাঁদের অল্প বেতনের কথা আমাকে বলতেন। আমি সেই কথাগুলো ওই দিন বলেছিলাম। পত্রপত্রিকায় আমার ওই কথাগুলো ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। এতে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছে।’

নাহিদ আরো বলেন, ‘আশা করি আমার এই বক্তব্যের পর ভুল বোঝাবুঝির অবসান হবে। আমাদের সরকার ঘুষ-দুর্নীতির ব্যাপারে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করেছে। ফলে শিক্ষকদের এখন আর হয়রানির শিকার হতে হয় না।’

সূত্র : বাংলা ট্রিবিউন/এনটিভি/যমুনা টেলিভিশন