খােলা বাজার২৪।বৃহস্পতিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৭: বিভিন্ন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে চলতি বছর খারাপ গেছে ফেসবুকের। ৪৬ শতাংশ রাজস্ব প্রবৃদ্ধি এবং নিট মুনাফা দ্বিগুণ হলেও ২০১৭ সালটি সোস্যাল মাধ্যমটির জন্য ছিল ভয়ানক। তবে আগামী বছর প্রতিষ্ঠানটিকে আরো খারাপ পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হবে। কারণ ২০১৮ সালে বিশ্বের বেশকিছু দেশের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিভিন্ন দিক বিবেচনায় সোস্যাল মিডিয়া মাধ্যমটির কিছু সেবা বন্ধ করে দিতে পারে। খবর ব্লুমবার্গ।
ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মার্ক জাকারবার্গ একটি ‘বৈশ্বিক কমিউনিটি’ গঠনের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন। তবে সে লক্ষ্য থেকে এরই মধ্যে অনেকটা সরে গেছে ফেসবুক— কথাগুলো বলেছেন খোদ ফেসবুকেরই গ্রাহক প্রবৃদ্ধি বিভাগের সাবেক প্রেসিডেন্ট চামাথ পালিহাপিতিয়া। তিনি নিজেও তার সন্তানদের জন্য ফেসবুক ব্যবহার অনুমোদন করেননি। কারণ চামাথ চান না স্বল্প সময়ের জন্য হলেও তারা ক্রীতদাস হয়ে উঠুক। ফেসবুকের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো তরুণদের ভীত ও উদ্বিগ্ন করে তুলছে।
জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের সামাজিক দায়বদ্ধতা নিয়ে এর আগে প্রশ্ন তুলেছিলেন প্রতিষ্ঠানটির প্রথম প্রেসিডেন্ট সিয়ান পার্কার। এবার একই কথা বললেন চামাথ পালিহাপিতিয়া। ফেসবুকের সাবেক দুই কর্মকর্তার ভাষ্যে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম শিশুদের মস্তিষ্কে কী ঘটাচ্ছে, আমরা তা জানি না।
চামাথের অভিযোগ বিষয়ে খুব দুর্বল প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে ফেসবুক। বিবৃতিতে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, ২০১১ সালে ফেসবুক ছেড়েছিলেন চামাথ পালিহাপিতিয়া। কাজেই তিনি দীর্ঘদিন প্রতিষ্ঠানটিতে নেই। তিনি ফেসবুকের সাম্প্রতিক পদক্ষেপ সম্পর্কে অবগত নন।
সিয়ান পার্কার ও চামাথ পালিহাপিতিয়ার তথ্যমতে, ফেসবুক যেসব সাম্প্রতিক পদক্ষেপের কথা বলছে, সেগুলোর আসলে বাস্তব প্রয়োগ নেই।
গত বুধবার যুক্তরাজ্যের কমিটি অন স্ট্যান্ডার্ড ইন পাবলিক লাইফ এক প্রতিবেদনে সোস্যাল মিডিয়া
কোম্পানিগুলোর সামাজিক দায়বদ্ধতা নিয়ে সতর্ক করেছে। কমিটির সদস্যদের পক্ষ থেকে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বরাবর সোস্যাল মিডিয়ার দায়বদ্ধতা এবং অবৈধ কনটেন্ট বিষয়ে প্রয়োজনে আইন সংশোধনের আহ্বান জানানো হয়। বর্তমানে ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রে চাপের মধ্যে আছে ফেসবুকসহ গুগল ও টুইটারের মতো একাধিক প্লাটফর্ম।সমকাল।