খােলা বাজার২৪। বৃহস্পতিবার, ১১ জানুয়ারি, ২০১৮: ভর্তি জালিয়াতির ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৫-১৬ শিক্ষা বর্ষের দুই শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। অনুসন্ধানের মাধ্যমে আদালতে জালিয়াতির চাঞ্চল্যকর তথ্য দেওয়ার পাশাপাশি আরও অধ্যায়নরত ১৫ শিক্ষার্থীর নাম জানিয়েছে তারা। যাদেরকে ঢাবির কর্তৃপক্ষ ১৫ শিক্ষার্থীকে স্থায়ী বহিষ্কারের ঘোষণা দিয়েছে।
সোমবার দিবাগত রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে শিহাব হাসান খান ফারাবি নামে মহসিন হলের এক শিক্ষার্থীকে ডেকে নিয়ে আসা হয়। অনুসন্ধানে জানা যায়, এই শিক্ষার্থী ২০১৫ সালে আগের রাতে ‘ঘ’ ইউনিটের প্রশ্ন পেয়ে ঢাবিতে ভর্তি হয়। বেশ কিছুক্ষণ তার সাথে কথা বলার পর সব সমীকরণ মিলে গেল। নিশ্চিত হওয়ার পর এগিয়ে এলো সাদা পোশাকের সিআইডির লোকেরা। তাকে তুলে নেওয়া হলো গাড়িতে।
ফারাবির দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বিজয় একাত্তর হলের শিক্ষার্থী সালমান ও এ এফ রহমান হলের হৃদয়কেও আটক করলো সিআইডি। সালমানও আগের রাতে প্রশ্ন পেয়েছিল। তাদের ঢাবির শিক্ষক ক্লাবে সারারাত জিজ্ঞাসাবাদ করে সিআইডি। ফারাবি ইসলাম শিক্ষা বিভাগ এবং সালমান সমাজ কল্যাণ ও গবেষণা বিভাগের ৪র্থ সেমিস্টারের শিক্ষার্থী। তখন তারা ২০১৫ সালে প্রশ্ন ফাঁসের সব চাঞ্চল্যকর তথ্য জানায়। শুধু ফারাবি ও সালমান নয় আরও অনেকে টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন পেয়ে ভর্তি হয়েছে স্বপ্নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে।
তাদের মধ্যে আছে, সুবহা যিনি ভর্তি হন আইনি বিষয়, সিনথিয়া অর্থনীতিতে, নাহিদ রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে। এছাড়া আরও অনেকে জালিয়াতির মাধ্যমে ভর্তি হয়েছে। এদেরকে আগের রাতে সাভারে নিয়ে প্রশ্ন পড়ানো হয়েছে।
রাকিবুল হাসান আতিককে আগেই নাটোর থেকে গ্রেফতার করেছিল সিআইডি। ফারাবি ও সালমানসহ এই নিয়ে মোট ঢাবির ২৭ জন শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এরই মধ্যে ঢাবির অধ্যায়নরত ১৫ শিক্ষার্থীকে স্থায়ী বহিষ্কারের ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।