Wed. Mar 12th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলা বাজার২৪। শনিবার, ২০ জানুয়ারি, ২০১৮:এমপিও ভূক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠাগুলোকে জাতীয়করণ করলে সরকারের অতিরিক্ত কোন খরচ হবে না। বরং সরকার আর্থিক ভাবে লাভবান হবে বলে জানিয়েছেন বেসরকারি শিক্ষা জাতীয়করণ লিঁয়াজো ফোরামের নেতৃবৃন্দ।

শুক্রবার পঞ্চম দিনের মত এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের শিক্ষা জাতীয়করণের একদফা দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আমরণ অনশন করে শিক্ষকরা। শিক্ষক-কর্মচারীদের ছয়টি সংগঠনের জোট ‘বেসরকারি শিক্ষা জাতীয়করণ লিয়াঁজো ফোরাম’ এর উদ্যোগে এই অনশন চলে।

আন্দোলন নিয়ে ফোরামের আহ্বায়ক আব্দুল খালেক জানান, এমপিও ভূক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠাগুলোকে জাতীয়করণ করতে সরকারের কোন খরচ হবে না। ধরুন, বর্তমানে এমপিও ভূক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরকারে চার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করছে। এর বিনিময়ে সরকার কোন বেনিফিট পাচ্ছে না। এ সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে যদি জাতীয়করণ করা হয় তাহলে পাঁচ হাজার কোটি টাকা খরচ হবে। এক্ষেত্রে অতিরিক্ত ১ হাজার কোটি টাকা প্রয়োজন হবে সরকারের। জাতীয়করণের পর যদি সরকার স্কুলের ইনকাম (আয়) নিয়ে নেয়। তাহলে সরকারের ১ হাজার কোটি টাকার চেয়ে বেশি আয় হবে। তাই আমরা বলছি, জাতীয়করণ করলে সরকারের অতিরিক্ত কোন খরচ হবে না।

তিনি আরো জানান, বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয় করণ করে দিলাম। আগামী দশ বছরের মধ্যে মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে জাতীয়করণ করা হবে। কিন্তু এখন স্বাধীনতার ৪৭ বছর পার হয়ে গেছে। কিন্তু আমরা আমাদের অধিকার পাইনি। এখনও পর্যন্ত আমরা সরকারের পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট কোন আস্বাশ পাইনি। শুধু শুনেছি, সংসদে আলোচনা হয়েছে। মাঝে মাঝে শুনা যায়, ১০-২০টা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে জাতীয়করণ করার কথা। কিন্তু আমরা চাই সারাদেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এক যোগে সরকারীকরণ করা হোক।

শুক্রবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দুপুরে রোদের মধ্যে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছে শিক্ষকরা। রাতে প্রচ- শীতের মধ্যে শিক্ষক-কর্মচারীরা এই খোলা আকাশের নিচেই রাত যাপন করে আসছেন। অনেকেই অসুস্থ হয়ে পরেছেন। অনেককে সেলাইন দিয়ে রাখা হয়েছে। আন্দোলনকারী শিক্ষক-কর্মচারীর অনেকেই ক্লান্ত। তারা চাচ্ছেন সরকার দ্রুত তাদের দাবি মেনে নিক এবং তাদের কষ্টের অবসান হোক।