মুহাম্মদ আবদুল্লাহ – খােলা বাজার২৪। রোববার, ২৮ জানুয়ারি, ২০১৮: আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায়ের দিন ধার্য করেছে আদালত। তার পর থেকে কিছু গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন প্রচারণা হচ্ছে যেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সাজা নিশ্চিত। কিন্তু বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ্য করছি মামলার শুনানিতে যেসব বিষয় উঠে এসেছে তা কেউ প্রচার করছেন না। এ মামলাটি যে সম্পূর্ণ জাল ও ঘষামাজা কাগজপত্রনির্ভর সাজানো রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা তাও প্রচারণায় উঠে আসছে না। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট একটি প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান। সেখানে কোনো অর্থ তছরুপের ঘটনাই ঘটেনি। যে অর্থ নিয়ে মামলা তা ব্যাংকে গচ্ছিত আছে এবং বৃদ্ধি পেয়ে কয়েক গুণ হয়েছে। যে একাউন্ট এর দোহাই দিয়ে দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে জড়ানো হয়েছে তারও কোন ভিত্তি নেই।
১৯৯১ সালের ৬ আগস্ট সংবিধানের দ্বাদশ সংশোধনীর মাধ্যমে বাংলাদেশে রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকারের পরিবর্তে সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়। নতুন সরকার ব্যবস্থা অনুযায়ী বেগম খালেদা জিয়া ১৯৯১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। তাহলে ‘প্রধানমন্ত্রীর অরফানেজ ট্রাস্ট’ একাউন্ট কিভাবে তার সাড়ে তিন মাস আগে ৯/৬/১৯৯১ সালে খোলা সম্ভব? যারা নথি জালিয়াতি করেছেন, তারা কি এ তথ্য জানেন না? নাকি হুঁশে ছিলেন না। এভাবে বহু অসঙ্গতি ও জালিয়াতির করে দায়ের করা মামলায় ‘সাজা হবে – সাজা হবে’ এমন রব তোলার হেতু কী?
অনলাইনে যারা আন্দোলন করছেন তাদের কাজ হওয়া উচিত শুনানিতে উঠে আসা মামলার অসঙ্গতি ও জালিয়াতির বিষয়ে ব্যাপক প্রচার চালানো যাতে জনসাধারণের কাছে স্পষ্ট হয়- অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা সত্যিকারের কোন দুর্নীতি মামলা নয়, এবং এখানে অর্থ লেনদেনের সঙ্গে খালেদা জিয়ার কোন দূরতম সম্পর্কও নেই। তবে এ প্রচারণায় যাতে আদালত অবমাননা না হয় তা খেয়াল রাখা বাঞ্ছনীয়।
পরিচিতি : মহাসচিব, বিএফইউজে/ফেসবুক থেকে