Sat. May 10th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলা বাজার২৪। রবিবার, ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮: শিশুদের নিজস্ব একটা জগত থাকে। সেই জগতে তারা নিজেদের মত করে কখনও কথা বলে, কখনও হাসে বা কাঁদে আবার কখনও অভিমানও করে। তবে তাদের কথা যদি অস্ফুট বা আধো-আধো হয়, তাকে মোটেই অবহেলা করা যাবে না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই কথাগুলি যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে শোনাই শুধু নয়, তার উত্তরও দেওয়া উচিত শিশুর মায়ের।

এক নতুন গবেষণা বলছে, শিশুর অস্ফুট বাক্যালাপ বা তার আধো আধো কথা আসলে তার মাকে উদ্দেশ্য করেই। কারণ, একমাত্র মা সেই অস্ফুট স্বর সবচেয়ে ভালো বুঝতে পারেন। বুঝে তিনি যে উত্তর দেন, সেখান থেকেই ভাষা শেখে বা কথা বলতে শেখে তাঁর সন্তান। তাই যত ভালো করে আপনি আপনার সন্তানের আধো আধো কথার উত্তর দেবেন বা তার সঙ্গে কথোপকথন করবেন, ততই ভালো করে কথা বলতে শিখবে সে।
গবেষকদের মতে, একটি শিশু খুব ভালো করে বুঝতে পারে কে তাকে বেশি ভালোবাসে বা কে তার বেশি যত্ম নেয়। তাই যাঁরা এই তালিকায় পড়েন, তাঁরা কিছু শেখালে শিশু সেটাই সবথেকে ভালো করে শিখতে পারে। যেমন, শিশু যখন অস্ফুট স্বরে কথা বলে, তখন তার সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তার মা যদি তাকে কোনও নাম বা কোনও বস্তুর নাম বলেন, তাহলে সেই নাম তার মনে থেকে যায়। সেও ধীরে ধীরে সেই নাম শিখে যায়।

৪০টি ৯ মাসের শিশু এবং তাদের মায়েদের নিয়ে একটি গবেষণা চালানো হয়েছিল। তাতে বোঝা গেছে শিশুর সঙ্গে তার বাবা-মায়ের আচরণ বা কথোপকথনের গুরুত্ব অনেকটাই বেশি। এমনকী সমীক্ষায় এও দেখা গেছে, শিশু যখন বুঝতে পারে, তার কথায় মা সাড়া দিচ্ছেন, তখন সে আরও স্পষ্ট করে কথা বলার চেষ্টা করে। আর এভাবেই তাড়াতাড়ি এবং ভালোভাবে কথা বলতে শিখতে যায় শিশু।

গবেষকদের বক্তব্য, এই পদ্ধতিতে সবথেকে ভালোভাবে এবং তাড়াতাড়ি বস্তুর নাম শিখতে পারে শিশুরা। ঘরের কোনও সামগ্রীর দিকে আঙুল দেখিয়ে শিশুকে যদি সেই সামগ্রীর নাম বলা হয়, সেই নাম শিশু সহজেই মনে রাখতে পারে। আবার যখন সে কোনও একটি জিনিসের দিকে তাকিয়ে অস্ফুট স্বরে কোনও কথা বলছে, তখন তার কথা বোঝা না গেলেও মায়ের উচিত শিশুটিকে সেই জিনিসটির নাম বলে দেওয়া। এর মাধ্যমেও তাড়াতাড়ি ভাষা শিখতে পারে সে। এর আগে এই অস্ফুট, আধো-আধো কথাকে তেমন গুরুত্ব দেওয়া হত না। মনে করা হত, এটা স্বাভাবিক নিয়মেই হচ্ছে। কিন্তু পরে গবেষণায় দেখা গেছে শিশুর ভাষা শেখার ক্ষেত্রে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।