খােলা বাজার২৪। সোমবার, ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮: ‘সুপারকাউ’ নামের নতুক এক সংকর জাতের গরু উৎপাদন করতে ২.৯ কোটি পাউন্ড বিনিয়োগ করছেন মাইক্রোসফট সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও ধনকুবের বিল গেটস।ব্রিটিশ জাতের গরুর জিন নিয়ে তা শক্তিশালী আফ্রিকান জাতের গরুর ডিএনএ-তে সঞ্চার করে নতুন উন্নত এই জাত উৎপাদন করতে চান তিনি। এই জাতের গরু যে কোনো জায়গায় টিকে থাকতে পারবে বলে তিনি আশা করছেন– বলা হয়েছে ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড মিরর-এর প্রতিবেদনে।
যুক্তরাজ্যের হলস্টেইন-ফ্রিসিয়ান জাতের গরু দিনে গড়ে প্রায় ১৯ লিটার দুধ দেয়। আর একই জাতের আফ্রিকান গরু দেয় মাত্র ১.৬ লিটার। কিন্তু আফ্রিকান গরুগুলো অত্যন্ত গরম আবহাওয়ায় অনেক কম খেয়েও বেঁচে থাকতে পারে। একদম গরিব দেশগুলোতে শতকোটিরও বেশি মানুষের জন্য কৃষি আর প্রাণিসম্পদ দারিদ্র্য দূর করার মাধ্যম।”
যুক্তরাজ্যের এডিনবার্গ ইউনিভার্সিটিতে গবেষণার ফলাফল নিয়ে বক্তব্য দিতে যাওয়ার আগে গেটস বলেন, “প্রাণিসম্পদ জাদুকরী। আপনি এ থেকে উৎপাদিত দ্রব্যাদি বিক্রি করে সেই অর্থ দিয়ে স্কুলের ফি দিতে পারবেন। আপনি উৎপাদিত দ্রব্যাদি রেখে দিতে পারেন আর এটি হচ্ছে খাদ্যে বৈচিত্র্য আনা।”
বিল গেটস-এর তৈরি করা দাতব্য সংস্থা বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন এর অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে গেটস-এর প্রতিষ্ঠিত সফটওয়্যার জায়ান্ট মাইক্রোসফটে থাকা তার অধিকাংশ সম্পদ উন্নয়নশীল বিশ্বের দারিদ্র্য দূর করতে বিতরণ করা।
বর্তমানে প্রায় ৬৪০০ কোটি পাউন্ড মূল্যের সম্পদের মালিক গেটস বলেন, এই খাতে প্রতি ডলার বিনিয়োগের প্রভাব অনেক বেশি। এমন একটি গরু থাকতে পারে যা একই রকম বাঁচার ক্ষমতা নিয়ে চারগুণ বেশি উৎপাদন করতে পারে। আমরা এটিকে অর্থনৈতিক ও স্বাস্থ্য খাতের প্রভাব দিয়ে যাচাই করতে পারি এবং আমরা দুই ক্ষেত্রেই ফল পাচ্ছি।
এডিনবার্গ ইউনিভার্সিটি’র গ্রীষ্মকালীন অঞ্চলগুলোর প্রাণিসম্পদ জীনতত্ত্ব বিভাগের প্রধান অ্যাপোলিনেয়ার জিকেং বলেন, “এরকম অনেক কাজ অনেক বছর আগে থেকেই শুরু হয়েছে। যদিও এগুলো কখনও সফল আর কখনও ব্যর্থ হয়েছে।” দুধ উৎপাদন বাড়ানোর পরিবেশগত হুমকি নিয়েও অবগত গেটস। কিন্তু তিনি বলেন, এটি এমন একটি বিষয় যে অনেক মানুষ তাদের পুষ্টি আর আয়ের জন্য গরুর উপর নির্ভর করে।