Thu. May 8th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলা বাজার২৪। বৃহস্পতিবার, ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮: চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে এসএসসি ইংরেজি ১ম পত্রের পরীক্ষায় ২০১৬-২০১৭ শিক্ষাবর্ষের রেগুলার পরীক্ষার্থীদের ২০১৭ সালের প্রশ্নপত্রে এবং অনিয়মিত অর্থাৎ ২০১৫-২০১৬ শিক্ষাবর্ষের পরীক্ষার্থীদের ২০১৮ সালের প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা গ্রহণের ঘটনা ঘটেছে। ভুক্তভুগি পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকরা জানায়, নাচোল কেন্দ্র-বি, ভেনু-খুরসেদ মোল্লা সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে গত ৫ ফেব্রুয়ারি ইংরেজি ১ম পত্রের পরীক্ষায় পীরপুর উচ্চ বিদ্যালয়, ভেরেন্ডি উচ্চ বিদ্যালয় ও মুন্সী হযরত আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থীরা এ কেন্দ্রে অংশগ্রহণ করে।

পরীক্ষা শেষে রেগুলার (২০১৬-২০১৭ শিক্ষাবর্ষের) পরীক্ষার্থীর কয়েকজন অভিভাবক তাদের ছেলে-মেয়েদের হাতে ২০১৭ সালের প্রশ্নপত্র দেখে বিষয়টি ওই মুহূর্তে কেন্দ্রসচিব নজরুল ইসলামকে জানান। বিষয়টি অন্য পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকরা প্রশ্নপত্র গরমিল দেখে পীরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক মুসলে হুদ্দীনকে জানান। মুহূর্তে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। এ বিষয়ে কেন্দ্রসচিব নজরুল ইসলাম ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার জন্য কোনো অসুবিধা হবে না সান্তনা দিয়ে অভিভাবদের বিদায় করেন। বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রসচিব নজরুল ইসলাম, পাঠশালা স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ শাহাদাৎ হোসেন ও পীরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুসলে হুদ্দীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ নাজমুল হক বৈঠক করেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ নাজমুল হক জানান, তিনি বিষয়টি রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে লিখে পাঠাবেন। এদিকে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের অভিভাবকরা জানান,তাদের সন্তানরা ২০১৬-২০১৭ শিক্ষাবর্ষের ২০১৮ সালের রেগুলার পরীক্ষার্থী। তারা ২০১৭ সালের অনিয়মিত প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দিয়ে কীভাবে নম্বর পাবে। কেন্দ্রসচিবের ভুলে তাদের সন্তানদের ভবিষ্যত অন্ধকার হবে এটি তারা মেনে নিতে পারছেন না। অপরদিকে, ভেরেন্ডি উচ্চ বিদ্যালয় ও পীরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০১৬-২০১৭ শিক্ষাবর্ষের অনিয়মিত কয়েকজন পরীক্ষার্থী ২০১৮ সালের (নিয়মিত) প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দিয়েছে। পরীক্ষা শেষে তাদের স্কুলশিক্ষকরা বিষয়টি নজরে আনেন। নাচোল খুরসেদ মোল্লা সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের (নাচেল, কেন্দ্র-বি) এর কেন্দ্রসচিব নজরুল ইসলাম এর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, পরীক্ষার্থীদের কোনো অসুবিধা হবে না, শিক্ষাবোর্ডে গিয়ে বিষয়টি জানিয়ে সুরাহা করা হবে। মানবকণ্ঠ