Tue. Oct 14th, 2025
Advertisements

খােলা বাজার২৪। রবিবার, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮: দেশে মোট মোবাইল হ্যান্ড সেটের ৩০ ভাগই আসছে অবৈধভাবে। এতে করে সরকারের রাজস্ব হারানোর পাশাপাশি প্রতারিত হচ্ছে ক্রেতারাও। তাই অবৈধ হ্যান্ডসেট বন্ধে কেন্দ্রীয় ডাটাবেজ তৈরির উদ্যোগ নিচ্ছে, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি।

বর্তমানে দেশে মোবাইল হ্যান্ডসেটের গ্রাহক সংখ্যা ৩ কোটি ৫৯ লাখ। ইন্টারনেট প্রসারের কারণে দিনদিন বাড়ছে এই সংখ্যা। তবে প্রান্তিক পর্যায়ে দাম নাগালে না থাকায় স্মার্টফোন গ্রাহক মাত্র ৩০ ভাগ।

এদিকে ব্যবসায়ীরা বলেন, ২০১৭ সালে অবৈধ পথে এসেছে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার সেট। এর বেশিরভাগ নতুন মডেলের দামি সেট। এতে ৭’শ কোটি টাকার বেশি শুল্ক হারাচ্ছে সরকার।

মোবাইল ফোন আমদানিকারক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রেজওয়ানুল হক বলেন, ট্যাক্সটা বাড়ার সাথে সাথে গ্রেটা অনেক বেশি বেড়ে গেছে। যেসব সেট বিটিআরসি অনুমোদন করেছে শুধু সেই সেটগুলোই বাংলাদেশের নেটওয়ার্কে একটিভ হতে পারবে অন্য কোনো সেট এ্যাকটিভ হতে পারবে না।

শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মইনুল খান বলেন, ব্যক্তিগত ব্যবহারের নামে যাত্রীরা লাগেজের মাধ্যমে নিয়ে আসে অনেক সেট। এরপর সেটগুলো বিক্রি করে দেয় মোবাইলের দোকানে। বিমানবন্দরে এমন জব্দ করা হয়েছে এক লাখেরও বেশি চোরাই সেট এবং ধ্বংসও করা হয়েছে।

বিটিআরসি এর চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ বলেন, মোবাইল সেট আমদানির জন্য অনুমতি নিতে হয় বিটিআরসির। তাই আইএমইআই ডাটাবেজের মাধ্যমে এসব বন্ধ করা সম্ভব।

দেশে মোবাইল ফোনের বাজার ১০ হাজার কোটি টাকার। আমদানি নির্ভরতা কমাতে মোবাইল উৎপাদনে কর সুবিধা দিয়েছে সরকার।

বাংলাদেশ মোবাইল ফোন আমদানিকারক সমিতির তথ্য মতে, ২০১৬ সালে ৮ হাজার কোটি টাকার ৩ কোটি মোবাইল সেট বৈধ পথে বাজারে আসে, যা ২০১৫ সালের চেয়ে ১১ শতাংশ বেশি। ২০১৬ সালে স্মার্টফোন আমদানি ৪৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় ৮২ লাখ পিস হয়। ২০১৫ সালে এটা ছিল ৫৬.২৭ লাখ পিস।
সূত্র : ইন্ডিপেন্ডেন্ট নিউজ