খােলা বাজার২৪। রবিবার, ১৮ফেব্রুয়ারি, ২০১৮: বিজ্ঞান শেখা সহজ করতে বাংলাদেশে ৬ষ্ঠ, ৭ম ও ৮ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য তিনটি মোবাইল গেমস বানানো হয়েছে যার নাম বিজ্ঞানের রাজ্য। এই তিন শ্রেণীর ৭টি করে অধ্যায় নিয়ে তৈরি হয়েছে বিজ্ঞানের গেমসটি। যা মোবাইল ফোনে অ্যাপের আকারে পাওয়া যাবে। সরকারি উদ্যোগে গেমসটি বানিয়েছে যে কোম্পানি তার ম্যানেজিং ডিরেক্টর রাশেদ কবির বলেছেন, ৬ষ্ঠ, ৭ম ও ৮ম শ্রেণির বিজ্ঞান বইয়ের কঠিন যে অধ্যায়গুলো আছে বা কঠিন বিষয়গুলো আছে সেগুলোকে খেলার মাধ্যমে বইয়ের মতো সাজানো হয়েছে। খেলার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা কঠিন বিষয়গুলো সহজ করে শিখতে পারবে।
বিবিসি বাংলার প্রশ্ন ছিলো, ৬ষ্ঠ, ৭ম ও ৮ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান শিখতে পাড়বে গেমের মাধ্যমে, পাঠ্য বইয়ের যে জ্ঞান তা শিক্ষার্থী কিভাবে পাবে? এমন প্রশ্নের জবাবে রাশেদ কবির এ তথ্য জানান। মোট গেমের সংখ্যা হচ্ছে তিনটি। এই তিনটি গেমই স্মার্ট ফোনে ডাউনলোড করা যাবে বিনামূল্যে।
এই গেম খেলতে স্মার্ট ফোন দরকার সে ক্ষেত্রে যারা অর্থনৈকিভাবে তেমন স্বচ্ছল নয় তাদের জন্য বিষয়টি দুরুহ হয়ে যাচ্ছে কি?
এমন প্রশ্নের জবাবে রাশেদ কবির বলেছেন, খুব একটা দুরুহ হবে বলে মনে হচ্ছে না। এক সময় ছিলো স্মার্ট ফোন কিনতে ১০-১২ হাজার টাকা লাগতো। আর এখন সেখানে বর্তমানে তার অনেক কম দামে স্মার্ট ফোন কেনা যায়। যে ছেলে বা মেয়ের কাছে যদি স্মার্ট ফোন যদি নাও থাকে তার পরিবারের কারো না কোরো কাছে স্মার্ট ফোন আছে। তা নিয়ে সে এই গেমসটি খেলতে পারবে।
গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে জরিপ চালিয়ে দেখা গেছে ৮০ শতাংশ শিক্ষার্থীর কাছে তার অথবা তার পরিবারের কাছে স্মার্ট ফোন আছে। সেখানে স্মার্ট ফোনের বিষয়টি চ্যালেঞ্জিং হবে না। ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করলে দেখা যাবে যে ভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, পরবর্তীতে দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে এমন কোনো মানুষ পাওয়া যাবে না যে তার কাছে স্মার্ট ফোন নেই।
গেমসটি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যেখানে একবার ডাউলোড করার পরে আর ইন্টারনেট লাগবে না। আর এই গেমসটি শেয়ারিটের মাধ্যমে ও একে অপরের কাছে আদান প্রদান করা যাবে। গ্রামের যে প্রত্যন্ত অঞ্চলের স্কুলগুলো আছে সেখানে গেমের যে একজি ফাইলটি আছে তা হাতে হাতে পৌঁছে দেওয়া হবে।
যে বয়সের জন্য মোবাইল গেমসটি তৈরি করা হয়েছে সে বয়সের ছেলে-মেয়েরা মোবাইলে গেমস বা ফেসবুক ইন্টানেটে আকৃষ্ট হয়ে যাচ্ছে, সেখানে এই গেমসটিকে কিভাবে কাজে লাগাবেন?
এমন প্রশ্নের জবাবে রাশেদ কবির বলেছেন, ১০-১৫ বছরের যে ছেলে-মেয়ে তার দিনের একটি অধিকাংশ সময়ই স্মার্ট ফোনের পেছনেই ব্যয় করে। ইউটিউব, ফেসবুক বা গুগলে তারা যদি ব্যবহার করতে চায় সেখানে ইন্টারনেট লাগবে। এই সুযোগটাকে নিয়েই কাছে লাগাতে হবে বলে তিনি মনে করছেন। সেখানে শিক্ষার্থীদের জন্য যে মোবাইল অ্যাপ বানানো হয়েছে তা একবার ডাউনলোড করার পর তাতে আর কোনো ধরনের ইন্টারনেট লাগছে না। তার বাবা-মা ইন্টারনেট বন্ধ করে তাকে এই গেমসটি খেলতে সাহায্য করবেন।