Tue. Oct 14th, 2025
Advertisements

রেহানা পুতুল – খােলা বাজার২৪। রবিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮:  অমর একুশে বইমেলায় আমার এ যাবত সাতটি বই বের হয়েছে। ২০০৮ সালে আমার দেশ পত্রিকায় আমার প্রথম লেখা প্রকাশিত হয়। এরপর বিভিন্ন ম্যাগাজিনে লেখা ছাপা হয়েছে। অঙ্কুর প্রকাশনী থেকে ২০১৪ সালে বের হয় ‘ডানা ভাঙা ডাহুক’। ‘ময়নার পায়ে শেকল’ (২০১৭) বের হয় বানী প্রকাশনী থেকে। ‘জীবন থেকে দূরে’ (২০১৭) পরিবার পাবলিকেশন্স। শিশুসাহিত্য ছোটদের বই প্রকাশনী ‘পরীদের নীল দীঘি’ (২০১৫)। এ বছর এসেছে ‘আমার বন্ধু ভূত’ ছোটদের বই প্রকাশনী, ষ্টল নম্বর ৫২৪ ।

গত ৫ ফেব্রুয়ারী পালিত হল গ্রন্থাগার দিবস। লাইব্রেরীতে বই পড়ার পরিবেশ থাকে। বাসায় সে রকম পরিবেশ পাওয়া যায় না। লাইব্রেরীতে এক মনে বসে বই পড়তে হয়। যা লাইব্রেরী ছাড়া অন্য কোথাও হয় না। আমার চেতনাকে ধারণ করার জন্য লাইব্রেরী অন্যতম উপায়। পৃথিবীর সেরা আনন্দের মধ্যে অন্যতম আনন্দ হল বই পড়া। আমরা আনন্দের সাথেই বাঁচতে চাই। বই পড়ায় এক অন্য রকম আনন্দ পাওয়া যায়। বই পড়ে আমরা স্বপ্ন দেখতে পারি। বই যখন পড়বো তখন সৃষ্টির রহস্য জানবো। আমার যে কিছু দেওয়ার আছে পৃথিবীকে।

কোনো মানুষ সমাজে কিছুতেই অবদান রাখতে পারবে না, যদি না সে বই পড়ে। আমি নিজেকে জেনে সেটা অন্যকে জানাতে চাই।লেখালেখি করতে চাইলে বেশি বেশি বই পড়তে হবে। লেখক বলতে যা বোঝায় তা জানতে হলে বেশি করে লিখতে হবে। প্রতিদিন ৫০ লাইন লিখতে হবে। যত লেখা লিখবে সব লেখাই যে প্রকাশযোগ্য হবে এমন নয়। লেখার মত লিখতে জানলে সেটা এমনিতেই বেরিয়ে আসবে। মানিক, বিভুতিভূষণ পড়তে হবে। বিশ্বের সেরা লেখকদের বই পড়তে হবে। সম্প্রতি আমাদের সাহিত্য অঙ্গন শুন্য করে অনেক লেখক চলে গেছেন।

তাদের শুণ্যস্থান পূরণ করতে হবে। তারা সাহিত্যের দিকপাল ছিলেন। আমি বিশ্বাস করি এই স্থান পূরণ হবে। প্রকৃতি শুন্যতা পছন্দ করে না। মেলায় কয়েকটি হত্যাকান্ড ঘটেছে। আইনের সুশাসন একেবারেই হচ্ছে না। আমাদের দেশে হিংসাত্মক ঘটনা বেশি ঘটেছে গত কয়েক বছরে। সন্ত্রাসীরা কলমের জবাব দিয়েছে অস্ত্র দিয়ে। কলমের জবাব কলম দিযে দেয়া যেতো। নৈতিকতার অবক্ষয় চরম পর্যায়ে বিশেষ করে আমাদের দেশে। এ বছর দুর্নীতির সূচকে বাংলাদেশ অগ্রগতি লাভ করেছে।

আমার মনে হয়েছে দুর্নীতি আরো বেড়েছে। যাদের হাতে ক্ষমতা তারা দুর্র্নীতি দমন করতে পারছেন না। মানিক বন্দ্যোপাধায়ের একটা কথা আছে, ‘জগতে কে নয় চোর, আমরা সবাই চোর।’
মেলার ব্যবস্থাপনায় আমি সন্তুষ্ট। মেলার সুশৃঙ্খল পরিবেশ আমাকে মুগ্ধ করেছে। দুপাশে খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। শিশুরা বাথরুমে যেতে পারছে। খাবার খেতে পারছে। মেলার এবারের পরিবেশ খুবই সুন্দর। বাংলা একাডেমি কতৃপক্ষকে ধন্যবাদ। মেলার সাফল্য কামনা করছি।

পরিচিতি : লেখক