খােলা বাজার২৪। বুধবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮: স্মার্টফোন আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে তা অনেককেই ভাবাচ্ছে। নানা গবেষণায় দেখা গেছে, অনেকাংশেই নির্ভর করছে ব্যবহারকারীর অফলাইন জীবনযাত্রার ওপর। কারণ বিভিন্ন অনলাইন টুল ব্যবহারের সুবাদে টিনএজারদের অনেকের জন্যই এখন বাস্তব জীবনে নতুন সম্পর্ক তৈরি, উন্নয়ন ও নিজস্ব কার্যক্রম গোছানোর সুযোগ তৈরি হয়েছে। খবর সায়েন্স ডেইলি।
টিনএজারদের স্মার্টফোন ব্যবহার ও তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর এর প্রভাব সম্পর্কে ১০ বছর ধরে পর্যবেক্ষণ চালিয়ে যাচ্ছেন ক্যান্ডিস ওজার্স। যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর ক্যারোলিনার স্কুলশিক্ষার্থীদের মধ্যে জরিপ চালিয়ে তিনি দেখেছেন, সেখানকার ১১ বছর বয়সী কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে ৪৮ শতাংশের কাছে সেলফোন রয়েছে। অন্যদিকে ১৪ বছর বয়সীদের মধ্যে সেলফোনের মালিকানা থাকার কথা জানিয়েছে ৮৫ শতাংশ।
তবে স্মার্টফোনমাত্রই কিশোর বয়সীদের জন্য একেবারে ক্ষতির কারণ, সে বিষয় মানতে নারাজ ক্যান্ডিস ওজার্স। এ বিষয়ে তার যুক্তি হলো, পরিমিত মাত্রায় ব্যবহারের সঙ্গে টিনএজারদের মানসিক কল্যাণে কোনো ধরনের বিরোধ প্রমাণ করা যায়নি।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছেচ্ছে ৪৭ শতাংশ ভারতীয়রা প্রিয়জনের চেয়ে স্মার্টফোনের বেশি কদর করেন। বেশিরভাগ মানুষই বুঝতে পারেন না স্মার্টফোন কখন তাদের আসক্তি হয়ে গিয়েছে।
সমীক্ষা রিপোর্ট বলছে, সারা বিশ্বে ৩৩ শতাংশ জনগণ, যার সিংহভাগ নবপ্রজন্ম, তারা ডিজিটাল যুগে বড় হয়ে উঠছে। তারা প্রিয়জনের চেয়ে বেশি যত্ন নেয় স্মার্টফোনের। আর ভারতের ক্ষেত্রে সেই সংখ্যাটা একশোয় ৪৭ জন।
স্মার্টফোন নিয়ে গবেষণা টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি মোটোরোলা হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইন্ড-ব্রেন বিহেভিয়র ও সায়েন্স অ্যান্ড হ্যাপিনেস বিশেষজ্ঞ ন্যান্সি এটকফকে নিয়ে গবেষণা ও সমীক্ষা চালায়।
সেই গবেষণার রিপোর্ট বলছে, এই প্রজন্মের মানুষের নিজের জীবনের প্রতি কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। সঙ্গী স্মার্টফোন সমীক্ষায় বিশ্বজুড়ে ৫৩ শতাংশ মানুষ বলেছেন, স্মার্টফোনই তাদের সবচেয়ে ভালো সঙ্গী। সেখানে ভারতীয়দের ৬৫ শতাংশ স্মার্টফোনকে বিশ্বস্ত সঙ্গী বা বেস্ট ফ্রেন্ড বলে ব্যাখ্যা করেছেন। মোবাইলের ব্যবহার স্মার্টফোন ব্যবহার না করলে ভালো থাকেন এমনটা বলেছেন ৬১ শতাংশ মানুষ।
মানুষ চান মোবাইল ও জীবনের বাকী বিষয়গুলির মধ্যে ব্যালান্স করে চলতে। ফোন চেক করা অর্ধেক মানুষ বলেছেন, তারা ফোন চেক করেন মাঝেমাঝেই। আবার ৪৪ শতাংশ বলেছেন, অনেকে বাধ্য হয়ে ফোন চেক করেন। বিশ্বজুড়ে ৬৫ শতাংশ মানুষ স্বীকার করেছেন যে ফোন হারালে প্যানিক করার মতো অবস্থা তৈরি হয়।