খােলা বাজার২৪। রবিবার, ১১ মার্চ, ২০১৮ : দারিদ্রতার কারণে যেন থামছেই না প্রাথমিকে ঝরে পড়া। সরকারের নানা পদক্ষেপের পরও থামছে না প্রাথমিকে এই ঝড়ে পড়া। তবে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর বলছে, প্রাথমিকে শিক্ষার্থীদের ধরে রাখতে উপবৃত্তি বাড়ানোসহ আরও পরিকল্পনা নেয়া হবে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে প্রাথমিক শিক্ষায় ঝরে পড়ার হার ১৮ দশমিক ৮৮ শতাংশ। প্রথম শ্রেণীতে ১ দশমিক ৬, ২য় শ্রেণীতে ৩, ৩য় শ্রেণীতে ৪ শতাংশ শিক্ষার্থী ঝরে পড়লেও ৪র্থ শ্রেণীতে ঝরে পড়ছে ৭ দশমিক ৮ শতাংশ। আর পঞ্চম শ্রেণীতে ঝরে পড়ছে ২ দশমিক ৬ শতাংশ শিক্ষার্থী।
এই অবস্থা যশোরের ঝিকরগাছার হাজিরালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়েরও। এই স্কুলে প্রথম শ্রেণীতে ৫ বছর আগে শিক্ষার্থী ছিল ৪৩ জন। কিন্ত এবার ওই ব্যাচের মাত্র ২১ জন শিক্ষার্থী সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নেয়। এখন এর হার যেন শতকরা ১৮ ভাগের বেশি।
এদিকে অভিভাবকরা বলেন, দারিদ্রতার কারণে আমদের সন্তানেরা বিদ্যালয়ে না গিয়ে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর বলছে, আগের থেকে ঝড়ে পড়ার হার অনেক কমেছে। তবে আরো কমাতে স্কুল ফিডিংসহ উপবৃত্তি কার্যক্রম বাড়ানো হবে।
শিক্ষাবিদরা বলছেন, শিক্ষার্থী ধরে রাখতে বিদ্যালয়গুলোকে আকর্ষনীয় করতে হবে এবং দুপুরে খাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। পাশাপাশি আরও বিভিন্ন ধরণের প্রেষণার ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়া শিক্ষার্থী ঝড়ে পড়া ঠেকাতে পড়ার চাপও কমাতে হবে।
সূত্র : ইনডিপেনডেন্ট টিভি