Wed. Mar 12th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলা বাজার২৪। শনিবার, ১৭ মার্চ ২০১৮ : টেক জায়ান্ট গুগলের সহপ্রতিষ্ঠাতার ড্রোন কোম্পানি নিয়ে এসেছে পৃথিবীর সর্বপ্রথম স্বয়ংক্রিয় উড়ন্ত ট্যাক্সি। দুজন যাত্রী ধারণক্ষম এই উড়ন্ত ট্যাক্সিটি ঘণ্টায় প্রায় ১১০ মাইল বেগে উড়তে পারে। গুগলের সহপ্রতিষ্ঠাতা ল্যারি পেইজ জানান, ট্যাক্সিটি বর্তমানে নিউজিল্যান্ডে নিয়ন্ত্রণ অনুমোদনের জন্য অপেক্ষারত রয়েছে। জেফার এয়ারওয়ার্কসের তত্ত্বাবধায়নে ড্রোন সাদৃশ্য ট্যাক্সিটি গোপনভাবে বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষার সম্মুখীন হয়।

কোরা নামক এই স্বয়ংক্রিয় উড়ন্ত ট্যাক্সিটি ১২-রটোর প্লেন এবং ড্রোনের মিলিত রূপ। এটি ড্রোনের মতো উল্লম্বভাবে উড্ডয়নে সক্ষম। আবার এর পেছনের দিকে লাগানো প্রপেলারের কারণে উড্ডয়নের পর এটি সামনের দিকে এগোয়। তাই বলা চলে প্লেন ও ড্রোন উভয়েরই বৈশিষ্ট্য এর মধ্যে বিদ্যমান। আট বছর প্রচেষ্টার ফল এই ড্রোন প্লেনটি ভূমি থেকে প্রায় ৯১৪ মাইল পর্যন্ত উপরে উঠতে পারে।

ল্যারি পেইজের ড্রোন প্রতিষ্ঠান কিটি হওক-এর মতে, ‘উড়ন্ত ট্যাক্সি আবিষ্কার মানে বিমানবন্দর ঘরে নিয়ে আসা, যেহেতু কোরা হেলিকাপ্টারের মতো উল্লম্বভাবে উড়তে পারে, তাই রানওয়ের জন্য আলাদা কোনো জায়গার প্রয়োজন নেই। কোরার মাধ্যমে যে কেউ যেকোনো সময় তাঁর বাড়ির ছাদ, উঠোন বা পার্কিং লট থেকে উড়তে পারে বাড়ি থেকেই।’

কিটি হওক-এর অর্থায়নের পেছনে রয়েছেন পেজ নিজেই, আর কোম্পানিটি পরিচালনা করছেন গুগলের সাবেক সক্রিয় গাড়ি পরিচালক সুবাসচিয়ান থ্রুন। উবার জাতীয় কোম্পানিগুলোর আগেই উড়ন্ত ট্যাক্সি সর্বপ্রথম তাঁরা চালু করতে চান।

আগামী তিন বছরের মধ্যে ট্যাক্সিটি বাণিজ্যিকভাবে পরিচালনার অনুমতি পেয়ে যাবেন বলে তাঁরা আশা করেন, যা তাঁদের পৃথিবীর প্রথম উড়ন্ত ট্যাক্সি কোম্পানির স্বীকৃতি দেবে। শুধু তাই না, অনুমোদনটি দিলে নিউজিল্যান্ডও এমন অনুমোদনদানকারী প্রথম দেশ হিসেবে পরিগণিত হবে। বলাই বাহুল্য, নিউজিল্যান্ডের বিমান সংস্থা খুবই উন্নতমানের এবং অনুকরণীয়।

কিটি হওক উবারের মতো কোরার জন্যও একটি অ্যাপ তৈরি করছে, যার মাধ্যমে একজন যাত্রী যেভাবে উবার ডাকে ঠিক সেভাবেই উড়ন্ত ট্যাক্সি ডেকে গন্তব্যের দিকে রওনা দিতে পারবে।

কোরাকে নিয়ে জল্পনা কল্পনার শেষ নেই কিটি হওকের। বাণিজ্যিকভাবে চালু করার পর তাদের আরো একটি কঠিন কাজ হবে মানুষকে এই বিষয়ে অবগত করা এবং বিশ্বাস করানো যে এটি ব্যবহারের জন্য নিরাপদ।

কিটি হওক জানায়, সফটওয়ার ও মানুষের মিলিত তত্ত্বাবধায়নে কোরার প্রতিটি উড্ডয়ন সংঘটিত হবে। তিনটি পৃথক স্বাধীনভাবে কর্মক্ষম রটোর ছাড়াও কোরার সঙ্গে প্যারাসুটও সংযুক্ত থাকবে। সূত্র: এনটিভি নিউজ