Wed. Sep 17th, 2025
Advertisements

খােলা বাজার২৪। মঙ্গলবার , ২০ মার্চ ২০১৮ : নেপালের কাঠমান্ডুতে প্লেন বিধ্বস্তে নিহত ছেলে আলিফুজ্জামানের মরদেহ এখনও শনাক্ত হয়নি। ডিএনএ টেস্টের পর মিলবে মরদেহের পরিচয়। এর জন্য লাগবে দুই থেকে তিন সপ্তাহ। এরপরও বাবা-মা এসেছেন আর্মি স্টেডিয়ামে! যদি চলে আসে ছেলের মরদেহ।

ইউএস-বাংলা কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধায়নে বিমান বাহিনীর বিশেষ প্লেনে সোমবার (১৮ মার্চ) ২৩ বাংলাদেশির মরদেহ আনা হয় দেশে। শনাক্ত করা যায়নি বলে এখনও দেশে আসেনি খুলনার আসাদুজ্জামান মোল্লা ও মনিকা বেগমের ছেলে আলিফের।

গত ১২ মার্চ কাঠমান্ডুতে প্লেন বিধ্বস্তে ২৬ জন বাংলাদেশির মৃত্যু হয়। এর মধ্যে ৩ জনের এখনও পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। তাদের মধ্যে রয়েছেন আলিফুজ্জামান আলিফ।

সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন নিহত আলিফের মা। আহাজারিতে আকুতি জানিয়ে বারবার বলছিলেন, বুকের ধন ফিরিয়ে দিতে।

‘মারা গেছে জেনেছি, তার লাশটা কী পাবো না! আল্লাহ কি তাকে মাটি দেওয়ার অধিকার কেড়ে নিবে। আমি আমার সন্তানের লাশ চাই, দেশের মাটিতে কবর দিতে চাই। প্রধানমন্ত্রী আপনি আমাদের মা, আমার সন্তানের লাশ নিয়ে আসার ব্যবস্থা করুন,’ বলছিলেন মনিকা বেগম।

পাশে দাঁড়ানো শোকে বিহ্বল বাবা আসাদুজ্জামান মোল্লা বলেন, ছেলেকে আর ফিরে পাবো না, জানি। নিজের হাতে তার কবরে মাটি দিতে চাই।

ছেলের শেষ কথা তুলে ধরে আলিফের মা বলেন, ‘ও বললো, মা আমি নেপালে যাবো। মোটরসাইকেলের চাবিটা রাখো। একদিন তোমাদের নিয়ে যাবো, হিমালয় দেখাবো। আমার ছেলে আর ফিরলো না।’

এই ‘অবুঝ’ বাবা-মা জানেন শনাক্ত হওয়া ২৩ বাংলাদেশির মরদেহের সঙ্গে তার ছেলে নেই। এরপরও এসেছেন আশায় বুক বেঁধে। বার বার ছেলের মরদেহ ফিরে পাওয়ার আকুতি জানাচ্ছিলেন।

খুলনার রূপসা উপজেলার আইচগাতি ইউনিয়নের বেলফুলিয়া গ্রামে আলিফদের বাড়ি। তিনি খুলনা সরকারি এমএম সিটি কলেজ থেকে এবার মাস্টার্স পরীক্ষা দিয়েছেন। একই সঙ্গে খুলনা জেলা প্রজন্ম লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ছিলেন। সূত্র : বাংলানিউজ