Tue. Oct 14th, 2025
Advertisements

খোলাবাজার২৪ সোমবার ২৩ জুলাই, ২০১৮ : মোঃরাসেল মিয়া:নরসিংদী প্রতিনিধি: নরসিংদীতে আসছে কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে গরু মোটা তাজা করণে ব্যস্ত সময় পার করছেন গরু খামারী ও কৃষকরা। দীর্ঘদিন লালন পালনের পর বাড়তি মুনাফা লাভের আশায় শেষ মুহূর্তে এসব গরুর বিশেষ যত্ন নিচ্ছেন তারা।নরসিংদীর ৬ টি উপজেলার ৭২ টি ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে বর্তমানে ১০০বেশি গরুর খামারী রয়েছে। ফলে তারা অতিরিক্ত মুনাফার জন্য কোরবানী ঈদকে কেন্দ্র করে গরু মহিষ ইত্যাদি মোটা-তাজা করনে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।

গত বছরের তুলনায় কৃষকের গোয়াল ও খামারগুলোতে এবার গরুর সংখ্যা কিছুটা কম। কারণ জানা যায়, গত বছর গরু ক্রয় ও লালন পালন করে বেশীর ভাগ খামারীদের লোকসান হয়েছে। তাই অনেক খামারী-ই এবার গরু লালন পালনের সংখ্যা কমিয়ে দিয়েছেন। কয়েকজন খামারী কামাল মিয়া (৪৫), ইউনুছ আলী (৫৪) জানান, দেশের হাট বাজারে অবাধে ভারতীয় গরু ইতিমধ্যে আমদানী হওয়ায় দেশীয় গরুর চাহিদা কমে যায়। ফলে আমরা গরুর প্রতি যে টাকা খরচ করি তা ঠিকভাবে পাই না।

এছাড়া উচ্চমূল্যে খড়, ভুষিসহ অন্যান্য খাবার খাইয়ে গরু পালন করে খামারীদের লাখ লাখ টাকা লোকসান গুনতে হয়। তারপরও কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে লোকসানের বোঝা মাথায় নিয়ে খামারীরা গরু পালন করে যাচ্ছেন।এবারও কোরবানীর পশুর হাটে গরুুর দাম কম হতে পারে বলে আশংকা করছেন তারা। শিবপুর উপজেলার নাহাওলা গ্রামের খামারী মোঃ রূঁপচান মিয়া জানান, তিনি এবার ঈদের পশুর হাটে বিক্রির জন্য আট-নয় মাস পূর্বে প্রায় ২০ লাখ টাকায় ১৬ টি ষাড় ক্রয় করে লালন পালন করে যাচ্ছেন।ক্রয় ও খাবার খরচ বাদে বাজার ভাল হলে প্রায় ৫০ লাখ টাকা বিক্রি করতে পারবেন বলে আশাবাদী তিনি। তিনি আরও জানান, গত বছরও তিনি ১৬ টি গরু পালন করেছিলেন।

কিন্তু বাজারদর কম হওয়ায় ৫ লাখ টাকা লোকসান গুনতে হয়েছে তাকে।নগর গ্রামের আবুল হোসেন জানান, তিনি বছর ছয় মাস পূর্বে প্রায় ২৫ লাখ টাকায় ২২টি বলদ ক্রয় করে ছিলেন। লালন পালন শেষে তিনি ৩ লাখ টাকা লোকসানে বিক্রি করতে হয়েছে। ফলে এবছর সংখ্যা কমিয়ে ১১টি গরু ক্রয় করেছেন। এবারও ঈদের বাজারের লোকসানে হতে পারে এমন আশংকায় রয়েছেন তিনি।