Mon. Sep 15th, 2025
Advertisements

 

খোলাবাজার২৪.বৃহস্পতিবার, ০২ আগস্ট , ২০১৮ঃ লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালানোয় মিরপুর রোডে বেশি কিছু গাড়ির চালকের বিরুদ্ধে পুলিশ সার্জেন্টকে দিয়ে মামলা করিয়েছে ছাত্ররা। এর মধ্যে একটি গাড়ি পুলিশের এবং একটি গাড়ি সরকারি সংস্থা ঢাকা ওয়াসার।

গত রবিবার বিমানবন্দর সড়কে বাস চাপায় দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর পর নিরাপদ সড়কের দাবিতে টানা চতুর্থ দিনের মতো সড়কে অবস্থান চলছে শিক্ষার্থীদের। এর মধ্যে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের পাশে সড়কে অবস্থান নেয়া ছাত্ররা বিভিন্ন যানবাহনের চালকদের লাইসেন্স পরীক্ষা করতে শুরু করে।

এ সময় ঢাকা ওয়াসার ঢাকা মেট্রো ঠ ১৩-২৯০৭ নম্বরের গাড়ির চালকের লাইসেন্সের মেয়াদ তিন মাস আগেই শেষ হয়ে যাওয়ার প্রমাণ মেলে।

সেখানে থাকা ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ওই চালকের বিরুদ্ধে মামলার পাশাপাশি ও তার মেয়াদোউত্তীর্ণ লাইসেন্স জব্দও করে।

পুলিশের বিশেষ শাখা পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট- পিওএম এর একটি পুলিশ ভ্যানের চালকেরও লাইসেন্সে পাওয়া যায়নি। পরে তার বিরুদ্ধে তিন হাজার টাকার একটি মামলা দেয়া হয়।

সকাল সাড়ে নয়টা থেকে দুই ঘণ্টায় এই সড়কে চলাচল করা মোট ১১টি গাড়ির চালকের বিরুদ্ধে লাইসেন্স না থাকার মামলা দেয়া হয়েছে বলে ঢাকাটাইমসকে জানিয়েছেন দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ সার্জেন্ট উজ্জ্বল।

উল্টোপথে আসা বিশেষ একটি নিরাপত্তা সংস্থার গাড়িও এ সময় আটকে দেয় শিক্ষার্থীরা। পরে কাগজপত্র ঠিক থাকায় কিছুক্ষণ পর গাড়িটিকে যেতে দেয়া হয়।

গত রবিবার বিমানবন্দর সড়কে কুর্মিটোলা হাসপাতালের সামনে বাসে উঠার অপেক্ষায় থাকা রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের শিক্ষার্থীদের চাপা দেয় জাবালে নূর পরিবহনের একটি বাস। এত দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর পাশাপাশি গুরুতর আহত ছয় জনকে ভর্তি করা হয় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে।

পরদিন থেকে শিক্ষার্থীরা নয় দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করে যার মধ্যে অন্যতম হলো লাইসেন্সবিহীন চালকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া।

এরই মধ্যে বিআরটিএ লাইসেন্সহীন চালকের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে। পাশাপাশি বুধবার থেকে ছাত্ররাও নগরীর বিভিন্ন সড়কে অবস্থান নিয়ে লাইসেন্স পরীক্ষা শুরু করে। আর এদিন পুলিশের দুটি এবং একটি গণমাধ্যমের গাড়ির চালকেরও লাইসেন্স পাওয়া যায়নি।