Sat. Sep 20th, 2025
Advertisements

খোলা বাজার ২৪,রবিবার , ০৭ অক্টোবর ২০১৮:  বানারীপাড়া (বরিশাল) প্রতিনিধিঃ শেরে বাংলা এ.কে ফজলুল হক ১৯১৬ সাল থেকে ১৮ সাল পর্যন্ত ভারতবর্ষের কংগ্রেস’র সেক্রেটারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে ছিলেন। আমি তার পূন্যভূমি চাখারে আসতে পেরে খুব খুশি।

রোববার বেলা আড়াইটায় বানারীপাড়া উপজেলার চাখারে শেরে বাংলা প্রতিষ্ঠিত সরকারী ফজলুল হক কলেজে সুধিজনদের সাথে অনুষ্ঠিত মতবিনিয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ভারতীয় হাই কমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা এ কথা বলেন। এ সময় শ্রিংলা বলেন, শেরে বাংলা এ.কে ফজলুল হক শুধু ভারতবর্ষের রাজনীতির মধ্যে সীমাবধ্য ছিলেন না।

তিনি ব্রিটিশ শাসনেরও বিরোধিতা করেছিলেন। শ্রিংলা বলেন, শেরে বাংলা এই চাখারেই নয়, তার নামে ঢাকা সহ বরিশাল অঞ্চলে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠেছে। তিনি তার নামে যুবকদের উন্নয়নে শেরে বাংলা ফাউন্ডেশনেরও প্রসংশা করেন।

এ সময় বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় বরিশাল-২ আসনের এমপি এ্যাডভোকেট তালুকদার মো. ইউনুস এ অঞ্চলের সর্বস্থরের মানুষের পক্ষ থেকে বন্ধুপ্রতিম ভারতের হাই কমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলাকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ভারতের তৎকালিন প্রধানমন্ত্রী (কংগ্রেস নেত্রী) ইন্দিরা গান্ধীর সাথে প্রথম চুক্তি বাস্তবায়ন হয়েছে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতেৃত্বে আজ সেই চুক্তি বাস্তবে রুপ পেয়েছে। এমপি ইউনুস বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে।

আগামীতেও নৌকা প্রতীকে বিজয়ী করার মাধ্যমে আবারও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্বে এ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। চাখার সরকারী ফলুল হক কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. গোকুল চন্দ্র বিশ^াস’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় এছাড়াও বক্তৃতা করেন, শেরে বাংলার দৌহিত্র ফাইয়াজুল হক রাজু।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জেলা পরিষদ প্যানেল চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সম্পাদক এ্যাডভোকেট মাওলাদ হোসেন সানা, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (উজিরপুর সার্কেল) মো. আকরামুল হাসান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ আব্দুল্লাহ্ সাদীদ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সুখেন্দু শেখর বৈদ্য, থানার অফিসার ইনচার্জ মো. খলিলুর রহমান, ইউপি চেয়ারম্যান খিজির সরদার, রাহাদ আহমেদ ননী, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ মজিবুল ইসলাম টুকু প্রমূখ।

এর আগে ভারতের হাই কমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা চাখার শেরে বাংলা যাদুঘর পরিদর্শ করেন এবং তিনি ওই যাদুঘরের পরিদর্শন বহিতে স্বাক্ষর করেন।