Mon. Sep 22nd, 2025
Advertisements


খোলা বাজার ২৪, শনিবার  ২০ অক্টোবর ২০১৮ঃ  পিরোজপুর-২ সংসদীয় আসনের কাউখালী উপজেলার ঢাকাস্থ কাউখালীবাসীর সন্ধ্যা ও কালি গংঙা নদীভাঙন রোধে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন।শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়। 

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ইতোমধ্যে সোনাকুড় গ্রামটির তিনভাগের প্রায় দুইভাগ নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। সোনাকুর গ্রামে রয়েছে ২৫০ বছরের ঐতিহ্যবাহী মৃৎশিল্প। এই গ্রামের মাটির কাজ করা কুমার ও পাল বংশের লোকজন ভিটেমাটি হারিয়ে আজ নিঃস্ব।

কাউখালী উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান কাজী হারুন-অর-রশিদের সভাপতিত্বে মানবন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, প্রোগ্রাম উদ্যোগতা ও সন্চালক কাউখালী উপজেলা প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সেক্রেটারী যুব দলের কেন্দ্রীয় নেতা এইচ এম দ্বীন মোহাম্মদ, কাউখালী জন কল্যান সমিতির সভাপতি কে জি সালাউদ্দীন হিরু ঢাকা জজ কোর্টের এডিশনাল জিপি এড. দেলোয়ার হোসেন শরীফ, গ্রীন ডেলটা ইন্সুরেন্স কোম্পানীর ডাইরেক্টর হুমাউন কবীর বাবুল ঢাকা সিটি কর্পোরেশন উওরের কর্মকর্তা নাঈম হোসেন মিয়া,ঢাকাস্থ কাউখালী যুব কল্যাণ সমিতির সভাপতি এ কে এম সাইফুর রহমান আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম উজ্জ্বল, ঢাকাস্থ কাউখালী শিক্ষার্থী কল্যাণ পরিষদের সভাপতি ফররুখ বাবু, ঢাকা আইনজীবি সমিতির সদস্য এড. ইতকেন্দরা বাপ্পী,এড. জাকির হোসেন,এড সাখায়াত হোসেন,আওামীলীগ নেএী কাশমিরী পারভীন কাজল রেখা খান পিরোজপুর জেলা কৃষক লীগের যুগ্ম আহবায়ক রেজাউল করীম খোকন,বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সালাউদ্দীন লাভলু মোস্তাফিজুর রহমান ছাএলীগ নেতা সজল সিকদার সজল কুন্ডু ছাএদল নেতা মঈন তালুকদার যুব দল নেতা লিয়াকত তালুকদার দ্বীপ কল্যান সমিতির সভাপতি জাকির হোসেন রোকন সাধারন সম্পাদক সজল হাওলাদার প্রমুখ।

তারা বলেন, গত ১৫ দিনে সোনাকুর গ্রামের প্রায় ২০ একর জমি, ৫০টির বেশি বাড়ি ও ২০টি দোকান এবং একটি কাঠের ব্রিজ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়া ভাঙন ছড়িয়ে পড়েছে ১ নং সয়ন-রঘুনাথপুর ইউনিয়নের হোগলা, বেতকা, রঘুনাথপুর, সয়না, রোঙ্গাকাঠি, শীর্ষা ও মেঘপাল গ্রামে। এদিকে ২ নং আমড়াজুরি ইউনিয়নের সরকারি খাদ্য গুদাম, আশোয়া, গন্ধব্য, কুমিয়ান, ফেরিঘাট এলাকায়া ধীরে ধীরে নদীগর্ভে চলে যাচ্ছে। একই সাথে কাউখালী নদীবন্দর লঞ্চঘাট এলাকায় ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। যা এখন থেকে রোধ না করলে মানচিত্র থেকে এই উপজেলা বিলীন হয়ে যাবে। তাই নদীভাঙন রোধে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।