খোলা বাজার ২৪,বুধবার,০৭ নভেম্বর ২০১৮ঃ ১৯৭৫ সালের এ দিনে জাতীয় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ত্ব রক্ষায় সৈনিক-জনতা ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে নেমে এসেছিলেন সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিতে। ৭ নভেম্বরের চেতনা আমাদের জাতীয় জীবনে প্রেরণার উৎস।
বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য, পিরোজপুর জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক আলমগীর হোসেন বলেন, মহান জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস জাতীয় জীবনে এক ঐতিহাসিক দিন।জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে দেশবাসীকে তিনি সংগ্রামী শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
তিনি বলেন,৭ নভেম্বরের চেতনায় সকল জাতীয়তাবাদী দেশপ্রেমিক শক্তির ঐক্যবদ্ধ হওয়া প্রয়োজন। বাংলাদেশের রাজনীতি ক্রমেই কর্ত্ত্বত্ববাদী হয়ে ওঠার এক পর্যায়ে একদলীয় বাকশালী একনায়কতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা রূপনিয়েছিল। এমনি এক প্রেক্ষাপটে মতাদর্শগত কোন্দল যখন চরমে উঠেছিল তখন আওয়ামী লীগেরই একটি বৃহৎ অংশ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট একটি অভ্যুত্থান সংগঠিত করে ক্ষমতা দখল করে। এরই ধারাবাহিকতায় ঐ বছরের ৩ নভেম্বর সেনাবাহিনীর একটি অংশ আধিপত্যবাদের ভাবনায় প্ররোচিত হয়ে তৎকালীন সেনাবাহিনীর প্রধান মহান স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানকে স্বপরিবারে ক্যান্টনমেন্টে বন্দী করে রেখেছিল।
ষড়যন্ত্রকারীদের চক্রান্তকে রুখে দেয়ার জন্য অকুতোভয় সৈনিক-জনতা এক ইস্পাত কঠিন ঐক্যে শপথবদ্ধ হন ৭ নভেম্বর এক ঐতিহাসিক বিপ্লব সংগঠনের জন্য। তারা বন্দীদশা থেকে মুক্ত করেন তাদের প্রিয় সেনাপতিকে।
এই ঐতিহাসিক পট পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে দেশ নতুন করে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরে যাওয়ার প্রস্তুতি নেয় এবং বহুদলীয় গণতন্ত্র পূণ:প্রতিষ্ঠিত হয়।