Sat. Sep 20th, 2025
Advertisements


খোলা বাজার ২৪,সোমবার,১২ নভেম্বর ২০১৮ঃ  একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এক সপ্তাহ পিছিয়ে ৩০ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণের দিন ঘোষণা করার মধ্যে সরকারি ‘ষড়যন্ত্র’ দেখছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।

সোমবার বিকেলে মতিঝিলে ড. কামাল হোসেনের চেম্বারে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে ভোট পেছানো নিয়ে কথা বলেন জেএসডি সভাপতি ও ঐক্যফ্রন্ট নেতা আ স ম আব্দুর রব।

তিনি দাবি করেন, সরকার উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই নির্বাচন বানচালের জন্য ভোটগ্রহণের দিন ৩০ ডিসেম্বর করেছে।
কারণ হিসেবে আব্দুর রব উল্লেখ করেন, ‘৩০ ডিসেম্বরের একদিন পরেই ইংরেজি নববর্ষ। বাইরের দেশগুলো নববর্ষে উৎসব করে। এসব ফেলে কোনো দেশের কূটনীতিক এমনকি বিদেশি নির্বাচন পর্যবেক্ষক বাংলাদেশে আসতে চাইবেন না। সরকারের ইশারায় উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে নির্বাচন কমিশন এই তারিখ দিয়েছে। তারা চাই না, এদেশে কোনো নির্বাচন হোক।

তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের দাবিতে অনড় রয়েছি। নির্বাচন এক মাস পেছাতে হবে। এই দাবি মানা না হলে কাল (মঙ্গলবার) বৈঠক করে কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

সরকার সত্যিকার অর্থে নির্বাচন চাইলে আলোচনা করে আবারও পুনঃতফসিল করা সম্ভব বলেও মনে করেন জেএসডি সভাপতি।

উল্লেখ্য, ২৩ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণের দিন রেখে গত ৮ নভেম্বর জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন।

এরপরই বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, বিশেষ করে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলীয় জোট নির্বাচন এক মাস পেছানোর দাবি জানিয়ে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দেয়।

আর সাবেক রাষ্ট্রপতি ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন যুক্তফ্রন্ট ও বিকল্পধারা নির্বাচন এক সপ্তাহ পেছানোর দাবি জানায়।

এরপর গতকাল রোববার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এক অনুষ্ঠানে জানান, নির্বাচন কমিশন তফসিল পেছালে তারা কোনো আপত্তি জানাবে না।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ইভিএম প্রদর্শনীর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সিইসি নির্বাচন এক সপ্তাহ পিছিয়ে ৩০ ডিসেম্বর করার ঘোষণা দেন।

তিনি বলেন, ‘অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পুনঃতফসিল করা হয়েছে। এতে আগামী ৩০ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণ এবং মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিন আগামী ২৯ নভেম্বর করা হয়েছে। বাকি বিস্তারিত তফসিল আগামীকাল মঙ্গলবার বৈঠক করে জানানো হবে।