Fri. Sep 12th, 2025
Advertisements


খোলা বাজার ২৪,সোমবার,১৯ নভেম্বর ২০১৮ঃ বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা নিতে কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

সোমবার (১৯ নভেম্বর) বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

সেইসঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসনকে পুনরায় মেডিকেল বোর্ডের অধীনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বেগম জিয়াকে বিএসএমএমইউ হাসপাতাল থেকে কারাগারে পাঠানোর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে তাঁর আইনজীবীদের করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে এ আদেশে দেন আদালত। 

এদিকে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা।

গত ১১ নভেম্বর আইনজীবী নওশাদ জমির খালেদা জিয়াকে হাসপাতাল থেকে কারাগারে পাঠানোর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, কারা কর্তৃপক্ষ, বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষসহ ৯ জনকে বিবাদী করে একটি রিট দায়ের করেন।  

রিট আবেদনে খালেদা জিয়াকে অবিলম্বে বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থার আবেদন জানানো হয়। সেই সঙ্গে খালেদা জিয়াকে কেন পর্যাপ্ত চিকিৎসাসেবা দেয়া হবে না এ মর্মে একটি রুল জারিরও আর্জি জানানো হয় আবেদনে।

উল্লেখ্য, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি বেগম জিয়াকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়ে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন আদালত। এর পর থেকেই তিনি নাজিমুদ্দিন রোডের পুরনো ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি। 

এর পর এক রিট আবেদনের নিষ্পতি করে গত ৪ অক্টোবর বেগম জিয়াকে বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়ার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। সেই মোতাবেক গত ৬ অক্টোবর খালেদা জিয়াকে বিএসএমএমইউ নেয়া হয়।

একমাসেরও বেশি সময় হাসপাতালে থাকার পর গত ৮ নভেম্বর নাইকো দুর্নীতি মামলার শুনানি হাজির করতে বেগম জিয়াকে আদালতে নেয়া হয়। ওই দিনই পুনরায় তাঁকে কারাগারে ফিরিয়ে নেয়া হয়। 

ওইদিনই সাংবাদিকদের করা প্রশ্নে বঙ্গবন্ধু মেডিকেলের পক্ষ থেকে বলা হয়, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা এখন ‘যথেষ্ট স্থিতিশীল’। তাঁর আপাতত হাসপাতালে থাকার প্রয়োজন নেই। 

তবে বিএনপি বরাবরই দাবি করে আসছে, বেগম জিয়া গুরুত্বর অসুস্থ। তাঁকে উন্নত চিকিৎসা দেয়া দরকার। গতকাল সোমবার কারাগারে বিএনপির শীর্ষ ৫ নেতা দলের চেয়ারপারসনের সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে আসার পথে মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের জানান, বেগম জিয়াকে গত ৭ দিন ধরে থেরাপি দেয়া হচ্ছে না। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে সরকার দেশনেত্রীকে মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে।