খােলা বাজার২৪। শনিবার, ০১ ডিসেম্বর, ২০১৮ঃ বাংলাদেশের চলমান একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিরোধীদের জন্য এখনও ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নিশ্চিত হয়নি জানিয়ে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্স।
বাংলাদেশের রাজনীতি ও নির্বাচন নিয়ে ‘রিসার্চ ব্রিফিং’ নামের এক প্রতিবেদনে এতথ্য উঠে এসেছে। ১৩ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনটি স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৯ নভেম্বর) প্রকাশ করা হয়।
বাংলাদেশ বিষয়ক হালনাগারে ওই প্রতিবেদন গত বুধবার সুপ্রিম কোর্টের দেয়া রায়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি নেতাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণের পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ার বিষয়টিও স্থান পেয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খালেদা জিয়ার মুক্তি, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের আয়োজনসহ কোনো দাবি পূরণ না হওয়া স্বত্বেও নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণের ঘোষণা অপ্রত্যাশিত। অনেকেই মনে করছেন, এর ফলে নির্বাচন তুলনামূলক বিশ্বাসযোগ্য হবে।
নির্বাচনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পর্যবেক্ষণ না পাঠানোর বিষয়টিও গুরুত্ব পেয়েছে। বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার সুযোগ নিচ্ছে। অন্যদিকে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর দমন-পীড়ন তীব্রই রয়ে গেছে। তাই এবারের নির্বাচনে কোনো পর্যবেক্ষক দল না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। তাদের এমন সিদ্ধান্তের কারণ হচ্ছে- আন্তর্জাতিক মহলে এই নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে সন্দেহ আছে। তবে তারা (ইইউ) দুই সদস্যের ‘এক্সপার্ট মিশন’ পাঠাবে। আর পর্যবেক্ষক পাঠানোর বিষয়ে কমনওয়েলথ এখনও কিছু বলেনি।
নির্বাচনের ফল ঘোষণা নিয়ে আশঙ্কা রয়েছে প্রতিবেদনে। প্রতিদ্বন্দ্বিতার নিয়মের প্রতি (রুলস অব গেইম) সার্বিক আস্থার মাত্রা তলানিতেই আছে। এর ফলে নির্বাচনী প্রচারকালে বা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরপর সংঘাত ও অস্থিতিশীলতা শুরুর আশঙ্কা রয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার বলেছে, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নির্বাচনের ১৫ দিন আগে সেনা নামবে।
হাউস অব কমন্সের এই প্রতিবেদনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নিয়েও মন্তব্য করা হয়েছে। এটি রাজনৈতিক আদর্শিক পরিবর্তন বলেও মনে করা হয়েছে প্রতিবেদনে। পাশাপাশি আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট সম্প্রতি রক্ষণশীল ইসলামি দলগুলোর সঙ্গে হাত মিলিয়েছে।
এছাড়াও প্রতিবেদনে বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, মানবাধিকার, বিরোধীদের দমন-নিপীড়ন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতাসহ সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে।