Mon. Sep 15th, 2025
Advertisements

খােলাবাজার২৪,মঙ্গলবার,১১ডিসেম্বর ২০১৮ঃ পিরোজপুর প্রতিনিধিঃ শেষ পর্যন্ত ভোটের মাঠে থেকেই গেলেন পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ও ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা আশরাফুর রহমান। পিরোজপুর-৩ (মঠবাড়িয়া) আসনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন তিনি। তবে মহাজোট থেকে এখানে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে জাতীয় পার্টির (এরশাদ) রুস্তুম আলি ফরাজিকে। 

মনোনয়ন না পেয়ে উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আশরাফুর রহমান। ফলে মহাজোটের প্রার্থীর বিপরীতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মাঠে থাকায় পক্ষান্তরে বিএনপি জোটের প্রাথী সুবিধা পাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

জানা যায়, পিরোজপুরের তিনটি নির্বাচনী আসনে বড় দুই জোটের মধ্যে শুধু পিরোজপুর ৩ আসনে বিদ্রোহী প্রার্থী নিয়ে জটিলতা রয়েছে। এছাড়া অন্য আসনে হেভিওয়েট প্রার্থীদের নিয়ে মনোনয়ন জটিলতা থাকলেও তা দলের হাইকমান্ডের হস্তক্ষেপে সমাধান হয়েছে। পিরোজপুর ৩ আসনে আওয়ামী লীগ দলীয় উপজেলা চেয়ারম্যান মহাজোটের বাইরে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দেবার পরে দলীয় নেতাকর্মীরা বিষয়টি কেন্দ্রের হস্তক্ষেপে সমাধান হবার অপেক্ষায় ছিল। কিন্তু মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনেও মনোনয়ন প্রত্যাহার করেনি বিদ্রোহী প্রার্থী। এখানে বিএনপি জোটের একক প্রার্থীর বিপরীতে মহাজোট মনোনীত ও বিদ্রোহী দুই প্রার্থী থাকায় বাড়তি সুবিধা পাবে বিএনপি জোট প্রার্থী।

অপরদিকে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে এ নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে জটিলতা। একটি উপজেলা নিয়ে গঠিত সংসদীয় আসনে উপজেলার শীর্ষস্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রভাবশালী নেতা বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মাঠে থাকায় চরম বিপাকে পরেছে নেতাকর্মীরা। মঠবাড়িয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রিপন জোমাদ্দার জানান, এ আসনে সভানেত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন এ প্রার্থী। এতে মহাজোটের প্রার্থী ক্ষতিগ্রস্থ হবে। উপজেলা আওয়ামী লীগ থেকে বিদ্রোহী প্রার্থীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দলের হাইকমান্ডে জানান হয়েছে।

তবে নিজেকে বিদ্রোহী প্রার্থী মানতে নারাজ আশরাফুর রহমান। তিনি বলেন রুস্তুম আলি মহাজোটে কিংবা নৌকার প্রার্থী নয়। জাতীয় পার্টির লাঙ্গলের প্রার্থী তিনি। আর এখানেতো ওয়াকার্স পার্টির প্রার্থী রয়েছে। এ বিষয়ে দলের হাই-কমান্ড থেকে তাকে কোন নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কিনা তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, তার প্রার্থী হবার বিষয়ে আওয়ামী লীগের হাই কমান্ডে কারো সাথে তার কথা হয়নি।