Wed. May 7th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলাবাজার২৪,সোমবার,  ১৪ জানুয়ারি ২০১৯ঃ হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী বলেছেন, ‘কারও বক্তব্যকে ব্যাখ্যা দিতে হলে আপনাকে তার কথা বুঝতে হবে। অনুধাবন করতে হবে। না বুঝে নিজের মতো করে ব্যাখ্যা দাঁড় করানো এক ধরনের অপরাধ। আর খণ্ডিত বক্তব্যকে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা আরো বড় অপরাধ। কোনো কিছু লিখতে চাইলে সুস্থ মস্তিষ্কে চিন্তাশীল হয়ে সঠিক কথাটি লিখবেন।’

রোববার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে শাহ আহমদ শফী এসব কথা বলেন। একই সঙ্গে তার বক্তব্য বিকৃত না করার অনুরোধ করেছেন তিনি।

বক্তব্য বিকৃতের কারণে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি ও ভুলবুঝাবুঝি হয় বলে তার পাঠানো এ বার্তায় উল্লেখ করেছেন।

বিবৃতিতে আহমদ শফী বলেন, মেয়েরা কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে চাইলে পর্দা করেই (বোরকা) পারবে। আর তাদের শিক্ষকও হতে হবে নারী।

তিনি বলেন, ‘একটি মহল আমাকে বিতর্কিত করতে মরিয়া হয়ে মাঠে নেমেছে। আমাকে নারী বিদ্বেষী, নারী শিক্ষাবিরোধী হিসেবে উপস্থাপন করার অপপ্রয়াস চালাচ্ছে। আমি এসব কথার জবাব দিয়েছি।’

বিবৃতিতে হেফাজত আমির বলেন, আবারও বলছি, নারীদের জন্য নিরাপদ পরিবেশে শিক্ষার ব্যবস্থা করুন এবং তাদের জীবন ও ইজ্জতের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন। কেউ কারো কন্যাকে অনিরাপদ পরিবেশের দিকে ঠেলে দিতে পারে না। কারণ, দৈনিক পত্রিকা খুললেই প্রতিদিন চোখে পড়ছে কোথাও না কোথাও কোনো নারীকে ধর্ষণ করা হয়েছে অথবা খুন করা হয়েছে। নৈতিকতা অর্জন না হলে ধর্ষণ, খুন ও উত্ত্যক্তকরণ বন্ধ হবে না।

তিনি বলেন, নারীর প্রতি বৈষম্য দূর হবে না। ইসলামই ফিরিয়ে দিয়েছে নারীর প্রকৃত সম্মান। আমার কথার সারাংশ হলো উচ্চশিক্ষা কিংবা কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়াতে চাইলে বোরকা পরতে হবে এবং তাদের শিক্ষকও মহিলা হবেন।

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার জুমার নামাজের পর চট্টগ্রামের হাটহাজারীর দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম মাদ্রাসার বার্ষিক মাহফিলে হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফীর নারী শিক্ষা নিয়ে দেয়া বক্তব্যের পর দেশজুড়ে সমালোচনার সৃষ্টি হয়। এরপর শনিবার ও রোববার বিবৃতি দিয়ে বক্তব্যেও ব্যাখ্যা দিলেন শাহ আহমদ শফি।

ওই মাহফিলে চট্টগ্রাম ও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা মাদ্রাসার সাবেক শিক্ষার্থী ও স্থানীয় লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

চট্টগ্রামের হাটহাজারীর দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম মাদ্রাসার মহাপরিচালক হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী।