Fri. Sep 12th, 2025
Advertisements

মুন্সীগঞ্জে ট্রলারডুবি: ২০ শ্রমিক এখনও নিখোঁজ

খােলাবাজার২৪,শুক্রবার, ১৮ জানুয়ারি ২০১৯ঃ মুন্সীগঞ্জের মেঘনা নদীতে ট্রলারডুবির ঘটনায় ২০ শ্রমিক এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৭ জানুয়ারি) রাত পর্যন্ত তাদের সন্ধান মেলেনি। ট্রলারটিকেও শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।

বুধবার (১৬ জানুয়ারি) ভোর ৪টার দিকে চাঁদপুরের মতলব উপজেলা ও মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার উপজেলার সীমান্তবর্তী কালিয়াপুর এলাকার মেঘনায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

একটি মাটিকাটা ট্রলারকে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি তেলবাহী ট্যাংকার ধাক্কা দিলে ৩৪ জন যাত্রী নিয়ে ট্রলারটি ডুবে যায়। ১৪ শ্রমিক সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হলেও ২০ শ্রমিক নিখোঁজ রয়েছে।

বুধবার উদ্ধার অভিযান শুরু হলেও ট্রলারটি শনাক্ত করতে না পারার বিকেল ৫টার উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত করা হয়। বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা থেকে আবারো উদ্ধার অভিযান শুরু করা হয়। এদিনও ট্রলার ও নিখোঁজদের সন্ধান মেলেনি। এদিন সন্ধ্যার অভিযান সমাপ্ত করা হয়।

বিআইডাব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমোডোর মোজাম্মেল হক দুর্ঘটনাস্থল থেকে জানিয়েছেন, আমরা নদীর নিচে একটি ইমেজ পেয়েছি। পিনপয়েন্টের জন্য ঢাকা থেকে আরো ইকোইপমেন্ট আনা হচ্ছে। একই সাথে নৌবাহিনীর উন্নত মানের জাহাজ আসছে। এটি আসলে আমরা পুরোপুরি নিশ্চিত হবে পারব।

মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারুক আহম্মেদ বলেন, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, কোস্ট গার্ড উদ্ধার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। এখনও ট্রলার শনাক্ত করা যায়নি

নিখোঁজ ২০ শ্রমিকের মধ্যে ১৭ জনের বাড়ি পাবনার ভাঙ্গুরা উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়নে পাশাপাশি তিন গ্রামে। তাদের মধ্যে শুধু মুন্ডুমালা গ্রামেরই রয়েছেন নয়জন। এছাড়া দাসমরিচ গ্রামের ছয়জন ও চন্ডীপুর পুর গ্রামের দুইজন রয়েছেন। ট্রলার ডুবির খবর পেয়ে ওই তিন গ্রাম জুড়ে চলছে শোকের মাতম। স্বজনদের আহাজারিতে এলাকার বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে।

এই ঘটনায় সাঁতরে বেঁচে ফিরা পাইকপাড়া গ্রামের আশরাফ আলী মোল্লার ছেলে শাহ আলম ও হাশেম আলীর ছেলে মামুন আলী প্রামানিক জানান, ট্রলারের সামনের দিকে ছিলাম আমি আর পেছনের দিকে ছিলেন শাহ আলমসহ অন্যরা। ট্রলারটি তেলের ট্যাংকিতে ধাক্কা খেয়ে ডুবে যাওয়ার মুহূর্ত আমরা বের হয়ে পানিতে লাফ দেই। অন্ধকারে চারদিকে কিছুই দেখা যাচ্ছিল না। তিন ঘন্টারও বেশি সময় ধরে আমরা ঠান্ডা পানির মধ্যে সাঁতরে ভেসে ছিলাম।

তিনি বলেন, মাটিবোঝাই ট্রলার নির্ধারিত সময়ে গন্তব্যে না পৌঁছানোর কারণে মালিকপক্ষ মোবাইলে ফোন দিয়ে বন্ধ পান। সন্দেহ হলে তারা তখন আরেকটি ট্রলার নিয়ে আসেন। তারা আমাদের উদ্ধার করেন।