টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামে সিলেট সিক্সার্স। দুই ওপেনার লিটন দাস আর সাব্বির রহমান ২৯ বলের জুটিতে তারা তুলেন ৩৮ রান। ১৪ বলে ৪ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায় ২৭ রানে থাকা ভয়ংকর লিটনকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন ঢাকার অধিনায়ক সাকিব। পরের ওভারে আন্দ্রে রাসেলের বলে আউট হন সাব্বির, তিনি ১৬ বলে ১১ রান করেন।
তৃতীয় উইকেটে আফিফ হোসেন ধ্রুব আর ওয়ার্নার মিলে গড়েছিলেন ৩০ রানের জুটি। ১৭ বলে ১৯ রান করার পর আফিফকে ফিরিয়ে দেন প্রোটিয়া পেসার অ্যান্ড্রু বার্চ।
এরপর অল্প সময়ের মধ্যে অলক কাপালি (০) আর নিকোলাস পুরানকে (৬) হারিয়ে বড় বিপদে পড়ে সিলেট সিক্সার্স। ৮৬ রানের মধ্যে তারা হারিয়ে বসে ৫ উইকেট। সেখান থেকে দলকে টেনে নিয়েছেন ওয়ার্নার।
অস্ট্রেলিয়ান ওপেনারের ৪৩ বলে ৬৩ রানের ঝড়ো ইনিংসে ভর করেই ৮ উইকেটে ১৫৮ রানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি পায় সিলেট সিক্সার্স।
এরপর ১৫৯ রানের লক্ষ্যে মাঠে নামে ঢাকা ডায়নামাইটস। দ্বিতীয় ওভারেই বোল্ড হন ঢাকার ওপেনার মিজানুর রহমান। ১০ বলে ২০ করে সুনিল নারিনও সাজঘরে। ১৩ বলে ১৩ করলেন রনি তালুকদার। ৩৭ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে গিয়েছিল ঢাকা ডায়নামাইটস।
ঢাকা যখন বিপদে তখনই ত্রাতা হয়ে মাঠে নামেন অধিনায়ক সাকিব। ৪০ বলে ৮ চার ও ২ ছক্কায় ৬০ রানের ঝড়ো এক ইনিংস খেলে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ঢাকা অধিনায়ক।
ঢাকাকে জেতানোর এ ইনিংসে ডারওয়াইস রাসোলি ১৯ করে ফেরার পর নেমেছিলেন আন্দ্রে রাসেল। তিনিও সাকিবের মারকাটারি ব্যাটিংয়ে ভালোই সঙ্গ দিয়েছেন। মাত্র ২১ বলে ২ চার আর ৪টি বিশাল ছক্কায় হার না মানা ৪০ করেন ক্যারিবীয় এই ব্যাটসম্যান।