তিনি বলেন, আসুন সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশ দখলে নেবো। গণতন্ত্রের প্রক্রিয়ার মধ্যে নেবো। সংবিধানের মধ্য থেকে ঐক্যের ভিত্তিতে দেশ শাসন করবো।
শুক্রবার (১ মার্চ) বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
স্বাধীনতার পতাকা উত্তলন দিবস (২ মার্চ) উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডি।
কামাল হোসেন বলেন, উমুকের সন্তান, কন্যা হলেই তো রাজত্ব করতে পারে না। এটা আমাকে অনেকেই বলেন। এখানে যে পিয়ন বসে আছেন সেও দেশের মালিক।
তিনি বলেন, জনগণ অসহায় বোধ করছে। কারণ তারা দেশের মালিক হিসেবে সরকারের কাছ থেকে যে শ্রদ্ধা পাওয়ার কথা তা পাচ্ছেন না। সংবিধানের সপ্তম অনুচ্ছেদে পরিস্কারভাবে বলা আছে। বঙ্গবন্ধু যেখানে স্বাক্ষর করে গেছেন। আজকে এটা জাদুঘরে রাখা হয়েছে।
এ সময় ড. কামাল হোসেন একটা দিন সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশে মালিকানা দিবস পালনেরও আহ্বান জানান।
তিনি আরও বলেন, সরকার আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছে, তারা সংকটের মধ্যে আছে। তারা সোহরাওয়ার্দী উদ্দ্যানে একটা জনসভা করলে লোক পাবেন না। আমি অসম্ভব বলছি না। সারাদেশ থেকে বিভিন্ন ভাবে কিছু লোক জড়ো করতে পারবে।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধে আ স ম রবের উজ্জল ভূমিকা ছিল। তিনি স্বাধীনতার পতাকা উত্তলন করেছিলেন। আজকে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, সিরাজুল আলম খানকে বাদ দিয়ে ইতিহাস লিখা যাবে না। আজকে তাজউদ্দিন আহমদকে বাদ দিয়ে কি ইতিহাস লিখা যাবে? যাবে না।
তিনি বলেন, যে ইতিহাসে আ স ম রব, সিরাজুল আলম খান, ফজলুল হকের নাম থাকে না সেটা সঠিক ইতিহাস হতে পারে না।
জেএসডি সিনিয়র সহ-সভাপতি এমএ গোফরানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা সঞ্চালন করেন দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, গণফোরাম সভাপতি ড.কামাল হোসেন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব, গণফোরাম সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন মন্টু, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, জেএসডি সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন, বিকল্প ধারা বাংলাদেশের (একাংশ) মহাসচিব অ্যাডভোকেট শাহ আহমদ বাদল প্রমুখ।