Fri. Sep 12th, 2025
Advertisements

খােলাবাজার ২৪,মঙ্গলবার, ০৫ মার্চ ২০১৯ঃ যেসব দেশ সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দেয়, তাদের বিষয়ে কঠোর হতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলকে (আইসিসি) অনুরোধ করেছিল ভারত। তবে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের (বিসিসিআই) অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে দিয়েছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। আইসিসি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, এসব বিষয়ে তাদের কোনো ভূমিকা নেই। ফলে বিষয়টি আর এগোবে না।

কাশ্মীর হামলার পর বিশ্ব ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থার কাছে টিঠি লেখে ভারত। তাতে যেসব দেশ সন্ত্রাসবাদকে প্রশ্রয় দেয়, তাদের সঙ্গে সম্পর্ক কঠিন করতে শীর্ষ বোর্ড এবং সহযোগী সদস্যদের অনুরোধ জানায় বিসিসিআই। তবে চিঠিতে স্পষ্টভাবে পাকিস্তানের নাম উল্ল্যেখ করেনি ভারতীয় বোর্ড।

পুলওয়ামা কাণ্ডে পাকিস্তান-ভারতের রাজনৈতিক অবস্থার অবনতি ইতিহাসের তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। এর প্রভাব পড়েছে দুই দেশের ক্রীড়া সম্পর্কেও। আসন্ন বিশ্বকাপে দুই চিরপ্রতদ্বন্দ্বীর ম্যাচ হওয়া নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে ক্রিকেটের বৈশ্বিক আসর (বিশ্বকাপ) থেকে পাকিস্তানকে পুরোপুরি নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়ে আইসিসিতে চিঠি লেখার উদ্যোগ নিয়েছিল বিসিসিআই।

বিশ্বের প্রভাবশালী বোর্ডের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, যাহোক; ক্রিকেটের গভর্নিং বডি পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে, বিশ্বকাপে অংশ নিতে কোনো সহযোগী সদস্যকেই বাধা দেয়া হবে না। সবাই স্বতস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করতে পারবে। বিশ্ব ক্রিকেটযজ্ঞে কাউকে অংশগ্রহণ থেকে বিরত রাখতে কোনো পদক্ষেপ নেয়া হবে না। এরকমটি কখনো হয়নি, হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।

এমনটি হতে পারে-আমরা জানতাম। তবুও সুযোগ নিয়েছিলাম বলে জানান তিনি। ওই কর্মকর্তা বলেন, আইসিসি সোজাসাপ্টা জানিয়ে দিয়েছে, কোনো দল কারো বিপক্ষে খেলবে কি না-এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে দেশটির সরকার। এ বিষয়ে নাক গলাবে না সংস্থা। কোনো ভূমিকাও রাখবে না।

শনিবার দুবাইয়ে হয়েছে আইসিসি নির্বাহী কমিটির বৈঠক। সেখানে স্বয়ং হাজির ছিলেন এর চেয়ারম্যান মশাঙ্ক মনোহর। উপস্থিত ছিলেন বিসিসিআই এবং পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা। সবার উপস্থিতিতেই এসব বিষয় তুলে ধরা হয়।

আসছে ৩০ মে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলসে গড়াবে আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপ-২০১৯। ১৬ জুন ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে হওয়ার কথা ভারত-পাকিস্তান ব্যাট বলের যুদ্ধ। দুই চিরবৈরি দুই দেশের সীমান্তে বিদ্যমান চরম উত্তেজনার মুখে এখন পাক-ভারত মহারণ হয় কি না-তাই দেখার।