Mon. Apr 21st, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

চতুর্থ দিন নিয়ে বড় আশা ছিল বাংলাদেশের। দ্রুত উইকেট তুলে নিয়ে নিউজিল্যান্ডকে গুঁড়িয়ে দিতে চেয়েছিলেন টাইগাররা। উইকেট থেকে সহায়তা পাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। তবে চিত্র ঠিক উল্টো। উইকেট হয়ে গেছে ব্যাটিংবান্ধব। বল সোজা ব্যাটে আসছে। পেস-স্পিন কিছুই কাজ করছে না।

এর পুরোপুরি ফায়দা লুটলেন কিউই ব্যাটসম্যানরা। রানের পাহাড় গড়লেন তারা। রস টেইলের ডাবল সেঞ্চুরি, হেনরি নিকোলসের সেঞ্চুরি ও কেন উইলিয়ামসনের হাফসেঞ্চুরিতে ৬ উইকেটে ৪৩২ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করেছে স্বাগতিকরা।

বৃষ্টিতে ওয়েলিংটন টেস্টের প্রথম দুই দিন ভেসে গেছে। ফলে দ্বিতীয় টেস্ট কার্যত তিন দিনের ম্যাচে পরিণত হয়েছে। সেই লক্ষ্যে ভালো সংগ্রহ পেয়েছে নিউজিল্যান্ড। ২২১ রানের লিড নিয়েছে কিউইরা। জয়ের আশায় ব্যাট ছেড়েছে তারা।

তৃতীয় দিন শুরু হয়েছে ব্যাট-বলের লড়াই। এদিনও শেষ বিকালে বৃষ্টি ঝরেছে। এর আগে কিউই বোলিং তোপে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ২১১ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। জবাবে ২ উইকেটে ৩৮ রান তুলে দিন শেষ করে নিউজিল্যান্ড। ১০ রান নিয়ে কেন উইলিয়ামসন ও ১৮ রান নিয়ে টেইলর পরের দিনের খেলা শুরু করেন।

শুরুতেই দুবার লাইফ পান টেইলর। এরপর দুর্দমনীয় গতিতে ছুটতে থাকেন তিনি। লাগামহীনভাবে ছুটতে থাকেন উইলিয়ামসনও। রানে পিছিয়ে থাকলেও আগে ফিফটি করেন তিনিই। খানিক পর ফিফটি পেয়ে যান টেইলরও। পরে ঝড়ের গতিতে রান তোলেন তারা। বাংলাদেশ বোলারদের ওপর রীতিমতো স্টিম রোলার চালান। ব্যাটকে তলোয়ার বানিয়ে কচুকাটা করেন মোস্তাফিজদের। সাজান নান্দনিক সব স্ট্রোকের পসরা।

সেঞ্চুরির পথে এগিয়ে যাচ্ছিলেন দুজনই। তবে হঠাৎই খেই হারান উইলিয়ামসন। তাইজুল ইসলামের শিকার হয়ে ফেরেন তিনি। ফেরার আগে ১০৫ বলে ১১ চার ও ১ ছক্কায় ৭৪ রানের নান্দনিক ইনিংস খেলেন অধিনায়ক। সঙ্গী ফিরে গেলেও মন্থর হননি টেইলর। বরং তার তাণ্ডব আরও বেড়েছে। ওয়ানডে মেজাজে রান তুলেছেন। সেঞ্চুরি ছুঁয়েছেন মাত্র ৯৭ বলে। অর্থাৎ পরের ফিফটি করেছেন মাত্র ৩৬ বলে।

মারকাটারি ব্যাটিংয়ে ১৮তম টেস্ট সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে আরো আগ্রাসী হয়ে ওঠেন টেইলর। কোনোভাবেই তাকে দমানো যাচ্ছিল না। অন্যপাশে যথার্থ সঙ্গ পান হেনরি নিকোলসের। তাতে ছোটে স্বাগতিকরা। ধীরে ধীরে লিড বাড়ে তাদের। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের বাড়ে হতাশা।

পথিমধ্যে দেড়শ রান স্পর্শ করেন টেইলর। তাতেই ক্ষ্যান্ত হলে তাও একরকম হতো। বরং সময় গড়ানোর সঙ্গে তার ব্যাট আরও ক্ষুরধার হয়ে ওঠে। রানের ফোয়ারা ছুটিয়ে এগিয়ে যান ডাবল সেঞ্চুরির পথে। যোগ্য সমর্থন পান নিকোলসের কাছ থেকে। তিনিও কম যাননি। ক্রিজে এসেই উইলিয়ামসনের জায়গাটা পূরণ করে ফেলেন। মাঝে ফিফটি তুলে চোখ রাঙাতে থাকেন তিনিও।

আগে কাঙ্ক্ষিত তিন অংকের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করেন নিকোলস। অবশ্য টেস্ট ক্যারিয়ারে পঞ্চম সেঞ্চুরির পর বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে পারেননি তিনি। ১২৯ বলে ৯ চারে ১০৭ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলে তাইজুল ইসলামের বলে সোজা বোল্ড হয়ে ফেরেন এ মিডলঅর্ডা্র ব্যাটসম্যান।