Fri. Oct 24th, 2025
Advertisements

খােলাবাজার ২৪,সোমবার, ১৮ মার্চ ২০১৯ঃ ফের তেতে উঠেছে প্যারিসের রাস্তা। ‘ইয়েলো ভেস্ট’ আন্দোলনকারীরা তাদের প্রতিবাদের ১৮ তম সপ্তাহে পৌঁছে আরও একবার প্রশাসনকে জানাতে চাইলেন, পিছু হটার জায়গাই নেই।

শনিবার (১৬ মার্চ) দেশটির রাজধানী প্যারিসে আবারও রাস্তায় নেমে আসে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী। তারা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়। দেশজুড়ে বিভিন্ন স্থানে কমক্ষে ৫ হাজার বিক্ষোভকারী পথে নেমে বিক্ষোভ দেখায়।

নান্তেসে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি শুরু হলে একপর্যায়ে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছোড়ে। সেখানে নয়জন বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়। প্যারিসের রাস্তায় জড়ো হয়েছিল কমপক্ষে ১৩০০ বিক্ষোভকারী। বিক্ষোভকারীরা ব্যাংক, রেস্তোরাসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর চালায়। চলেছে লুটপাটও।

বিক্ষোভ হয়েছে নিশে, লিলে এবং স্ট্র‌্যাসবোর্গেও। বেশিরভাগ জায়গা বিক্ষোভকারীদের সরাতে টিয়ার গ্যাস এবং জলকামান ব্যবহার করেছে পুলিশ।প্যারিসে এক বিক্ষোভকারী রাবার বুলেটে জখম হন।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, শনিবারের ওই ঘটনায় অন্তত ৪২ জন বিক্ষোভকারী, ১৭ জন পুলিশ সদস্য এবং একজন ফায়ার সার্ভিসকর্মী আহত হয়েছেন।

এদিকে, ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী এডওয়ার্ড ফিলিপ টুইটে লিখেছেন, ‘ফ্রান্সের বাকি জনতার মতো আমিও অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। আজ যা হয়েছে, সেটা আর যা-ই হোক, প্রতিবাদ নয়। এটা অপরাধীদের কাজ। এই হিংসার কোনও যুক্তি নেই।’

প্রসঙ্গত, গত ১৭ নভেম্বর জ্বালানির কর বৃদ্ধির প্রতিবাদে প্রথম বিক্ষোভ শুরু করেন গাড়িচালকরা। ফ্রান্সে গাড়িচালকরা ইউনিফর্ম হিসেবে হলুদ রঙের জ্যাকেট পড়েন। সেজন্যই এই বিক্ষোভের নাম হয় ‘‘ইয়েলো ভেস্ট’‌ প্রতিবাদ। পরে প্রেসিডেন্ট ম্যাঁক্রো বর্ধিত কর ছেঁটে ফেলেন। ডিসেম্বরে নূন্যতম আয় মাসে ১০০ ইউরো করার কথাও ঘোষণা করেন। কিন্তু নূন্যতম আয়ে ২০ শতাংশ আয় বৃদ্ধি, কর সংস্কার, নারী-পুরুষের সমান বেতন, পরিবেশ সংরক্ষণ এবং জন পরিষেবায় উন্নয়নের দাবিতে এরপরই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে ফ্রান্স।