মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।
এর আগে গত ২০ মার্চ আবরার আহাম্মেদ চৌধুরীর পরিবারকে এক সপ্তাহের মধ্যে ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে সু-প্রভাত পরিবহনকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে আবরারের পরিবারকে কেন ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।
বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। তাকে সহযোগিতা করেন ব্যারিস্টার আশরাফ রহমান। পরে এ আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করে সু-প্রভাত পরিবহন কর্তৃপক্ষ।
এর আগে আবরারের দুর্ঘটনার বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। পরে আদালত তাকে আবেদন আকারে কোর্টে আসার নির্দেশনা দিলে তিনি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট আবেদন করেন।
সে রিটের শুনানি নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ ছাড়াও রুল জারি করেন। রুলে সড়কে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় অব্যাহত ব্যর্থতাকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।
আবরারের নিহত ও ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা শিক্ষার্থীদের আন্দোলন আদালতের নজরে আনেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। পরে আদালত তাকে আবেদন আকারে কোর্টে আসার নির্দেশনা দিলে তিনি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট আবেদন করেন।
গত ১৯ মার্চ বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার সামনে নর্দ্দায় সুপ্রভাত পরিবহনের বাসের চাপায় আবরার নিহত হন। এর প্রতিবাদে ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। ওই ঘটনায় আবরারের বাবা গুলশান থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করছে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা ডিবি)।