খােলাবাজার ২৪,বৃহস্পতবিার, ০২ মে ২০১৯ঃ শুক্রবার সন্ধ্যা নাগাদ বাংলাদেশের আঘাত হানতে পারে ঘুর্ণিঝড় ফণি। এজন্য মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৭ নং বিপদ সংকেত, চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে ৬ নং বিপদ সংকেত, দেখাতে নির্দেশ দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ঘর্ণিঝড়ের সময় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ১২০ কিলোমিটার হলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ। দুর্যোগ মোকাবিলায় ৫৬ হাজার ভলান্টিয়ার কাজ করছে, চার হাজার ৭১ টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়ে।
উত্তাল সমুদ্র, ধেয়ে আসছে ঘুর্ণিঝড় ফণি। ইতিহাস বলছে, গত ৪২ বছরে এমন শক্তি নিয়ে এই এলাকায় এমন ঘুর্ণিঝড় তৈরী হয়নি। খুলনা আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ফণি আরো ঘণীভূত হয়ে উত্তর এবং উত্তর-পূর্বদিকে অগ্রসর হয়ে শুক্রবার সন্ধ্যা নাগাদ খুলনা ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল এলাকায় পৌঁছাতে পারে। ওইসব অঞ্চলে এর প্রভাব শুরু হবে শুক্রবার সকাল থেকে। চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং এসবের কাছাকাছি দ্বীপ ও চরগুলোতে চার থেকে পাঁচ ফুট জলোচ্ছ্বাস হতে পারে।
এদিকে, ঘুর্ণীঝড় ফণি নিয়ে আন্ত:মন্ত্রনালয় বৈঠক করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, উপকূলসহ সব জেলায় ফায়ার সার্ভিস তৎপর রয়েছে। এরই মধ্যে ঐসব এলাকার জনগন নিরাপদে সরে যেতে শুরু করেছে। দুর্যোগের সুযোগে আইন-শৃংখলা পরিস্থিতির যেনো অবনতি না হয়, সেদিকেও নজর রাখা হচ্ছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, ফণির কারণে সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলা ও উপকূলীয় জনগনের নিরাপত্তায় ফায়ার সার্ভিসসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।